জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

২২ বছর আগের ছায়া, অফিসে আজ অপুর অন্য রূপ! আর্যর প্রতিশ্রুতি ভাঙার আসল কারণ জানতেই মুখ ফিরিয়ে নিল অপর্ণা! অপর্ণা-আর্যর সম্পর্কে দুরত্ব বাড়াচ্ছে ভাগ্য! মীরার পাশে দাঁড়িয়ে কি অপুকে হারাচ্ছে আর্য?

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, ডাক্তার জবাব দিয়ে দেন মীরার মাকে নিয়ে। কোনও ভাবেই আর কিছু করা যাবে কি না, আর্য ডাক্তারকে উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চায়। মীরা এইসব দেখে মনে মনে ঠিক করে ফেলে, আর্য ছাড়া আর কেউ তার জীবনসঙ্গী হতে পারে না। তারাসুন্দরী মা অপুর উদ্দেশ্যে আর্যর তোলা ফুল নিয়ে আসতে থাকেন।

এদিকে অফিসে অপর্ণাকে সবাই ছোট বড় কথা শোনাতে থাকে। সিনিয়র কর্মচারীরা অপুকে বয়স আর আর্যর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করলে, নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারে না অপু। প্রতিবাদ করে বলে ওঠে, কোনও গাইডলাইন্সে লেখা নেই নির্দিষ্ট বয়সেই প্রমোশন পেতে হবে। সে নিজের যোগ্যতায় এই জায়গা অর্জন করেছে, স্পষ্ট করে দেয় অপু। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ না করতে পারলে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় সবাইকে।

কড়া ভাষায় সব কর্মচারীদের হুকুম দেয় অপু, দশ মিনিটের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার। অফিসের এক প্রবীণ কর্মচারী অপুর এই রূপ দেখে মনে মনে বলে ওঠেন, আজ থেকে ২২ বছর আগে একজন ঠিক এমন করে অফিস চালাত, ভালোর ভালো খারাপের খারাপ। এমন ব্যবহার করার পর অপুও বুঝতে পারে না, সে কেন এমন করল? এদিকে মানসী অর্ককে বন্ধ দরজার রহস্য জানতে চাইলে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে।

কিঙ্কর এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অন্যদিকে রাত হতেই তারাসুন্দরী মা অপুদের বাড়িতে হাজির হন। অপুর মা বিয়ে নিয়ে কথা বলার আগেই, তিনি অপুর মায়ের হাতে অপুর জন্য আর্যর তুলে রাখা ফুল ধরিয়ে দিয়ে যান। বলে যান এটি প্রসাদী ফুল, যার প্রাপ্য তাকে দিয়ে গেলেন। সেই সময় অপুও উপস্থিত হয়। তারাসুন্দরী মায়ের কোনও কথা বুঝতে না পেরে অপু তার পিছু নেয়, তখনই সামনে এসে দাঁড়ায় আর্য।

আরও পড়ুনঃ সম্পর্ক নিয়ে আবারও চর্চায় প্রতীক-সোনামণি জুটি! জি বাংলায় ‘দাদামণি’ হয়েছেন প্রতীক! সোনামণির সঙ্গে অনস্ক্রিন প্রেম নিয়ে অভিনেতা মুখ খুললেন অবশেষে! সোনামণির সঙ্গে বন্ধুত্ব না প্রেম? কি ইঙ্গিত দিলেন অভিনেতা!

অপুর হাতে সেই ফুল দেখে আর্য বলে যে এই ফুল অপুর জন্য সে রেখেছিল, কিন্তু এভাবে কোথা থেকে এলো? তারপর প্রতিশ্রুতি ভাঙার আসল কারণ জানায় আর্য। অপর্ণা সব জেনে উদাসীন থাকে, আর্য এবার নিজের মনের কথা জানাতে চাইলে অপর্না বাধা দেয়। আর্যকে বাড়িতে আসতে বারণ করে দেয় অপু। অপর্ণার এমন ব্যবহার দেখে আর্য বলে বসে, অপর্না নাকি পাল্টে যাচ্ছে!

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।