সঞ্জয় দত্ত বলিউডের অন্যতম আলোচিত নাম। বহু বিতর্ক, রটনা, ঘটনায় জর্জরিত তাঁর নাম। বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে জেলযাত্রা থেকে শুরু করে মা’দক সেবন জয় সবেতেই নাম জড়িয়েছে নার্গিস পুত্রের। খুবই অল্প বয়স থেকে নে’শায় বুঁদ হয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। যদিও পরবর্তীতে সে জীবন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
কয়েক বছর আগে মারণ রোগ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এই দাপুটে অভিনেতা। আজ থেকে তিন বছর আগে যখন করোনা মহামারীর জন্য রাজ্যজুড়ে জারি হয় লকডাউন। যখন কার্যত বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত দেশ বিপর্যস্ত বিশ্ববাসীর জনজীবন। সেই কঠিন পরিস্থিতিতে জীবনের এক কঠিন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ান অভিনেতা। ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে জানতে পারেন অভিনেতা। এই খবরের মুখোমুখি তাঁকে দাঁড় করিয়েছিলেন তাঁর বোন প্রিয়া।
তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত জানতে পেরে কার্যত পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় অভিনেতার। নিজের পরিবার ও তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। যদিও পরে সেই যুদ্ধ জিতে ফেরেন অভিনেতা। তরুণ সঞ্জয় দত্তর জীবনের প্রথম ছবি ছিল ‘রকি’! বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পায় এই সিনেমা। কিন্তু এই সিনেমা মুক্তির আগেই মৃত্যু হয় মা নার্গিসের। আর মায়ের মৃত্যুতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন সঞ্জয়।
খুবই অল্প বয়স থেকে মা’দকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। যদিও সঞ্জয় যে মা’দকাসক্ত তা শুরুর দিকে কিছুতেই বিশ্বাস করতেন না তাঁর মা নার্গিস। ছেলের প্রতি অন্ধ ভালোবাসা ছিল তাঁর। এমনকি শুভাকাঙ্খীরা যখন নার্গিসকে তাঁর ছেলের এই মা’দকাসক্তির কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, তখনও অভিনেত্রী তাঁদের স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, ”আমার ছেলে কখনও ম’দ্যপান করে না, মা’দক সেবনও করে না।”
সে যাই হোক দীর্ঘ এতগুলো বছর পার করে এবার ম’দের ব্যবসায় নাম জড়ালো সঞ্জয় দত্তর। জানা গেছে, পার্টনারশিপে হু’ইস্কি ব্র্যান্ড ‘দ্য গ্লেনওয়াক’-এর ব্যবসা শুরু করেছেন ৬৩ বছরের অভিনেতা। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রবীণ এই অভিনেতা জানিয়েছেন, ভারতে হু’ইস্কির বাজার বেশ ভাল। সারা বিশ্বের অন্যতম বড় মার্কেট ভারত। অভিনেতা নিজেও নাকি প্রথমবার যখন ম’দ খেয়েছিলেন, হু’ইস্কিতেই চুমুক দিয়েছিলেন। আর তাই শুরু করলেন ‘হুইস্কির ব্যবসা।