অরিজিৎ সিং-এর গলায় বুঁদ গোটা ভারতবর্ষ। তাঁর গানের দিওয়ানা সবাই। এই দেশে থাকেন কিন্তু অরিজিতের গান ভালোবাসেননা বা অরিজিতের গলা ভালো লাগেনা এমন মানুষ মেলা ভার। তাঁর গানের গলায়, গানের নেশায় মজে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। ৮ থেকে ৮০ মুগ্ধ তাঁর গানে। বলা যায় তিনি ভারতবর্ষের গর্ব। তিনি বাংলার ঘরের ছেলে অরিজিৎ সিং।
জিয়াগঞ্জের এই ছেলের গানে কার্যত আবেগ, ভালোবাসার বিস্ফোরণ ঘটে। যশ, খ্যাতি, সাফল্য সবকিছুই অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে হস্তগত করেছিলেন এই গায়ক। কিন্তু বিরাট বিপুল এই সাফল্য কখনই মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি এই তারকার। ভীষণভাবে সাধারণের ভিড়ে মিশে থাকতে চান তিনি। আর থাকেনও তাই।
ভারতবর্ষের এই মেলোডি কিংয়ের গান কতশত মন ভাঙা যুবক-যুবতীর মনের আরাম বা বেঁচে থাকার আশ্রয়স্থল। সে নামিদামি তারকা হোক বা আমজনতা সবাই তাঁর ভক্তকূল। নিজের সমসাময়িক গায়ক গায়িকাদের অপমান নয় বরং বারবার বিভিন্ন সময় তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন এই গায়ক।
তাঁর থেকে বেশি বিনয়ী তারকা বোধহয় দেখেনি ভারতবর্ষ। সম্প্রতি ফের একবার অরিজিতের ব্যবহার মুগ্ধ করল সবাইকে । সোশ্যাল মাধ্যমে খুব একটা সক্রিয় নন গায়ক। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন তিনি। আর আজ আরও একবার খুললেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গায়ক গায়িকাদের সঙ্গে তুলনা টানা হয় অরিজিতের। এর ফলে অপমানিত হতে হয় অন্য তারকাদের। আর এবার সেইসব নিয়ে সরব হলেন তিনি।
এদিন টুইটারে বাংলার গর্ব অরিজিৎ লেখেন ‘আমি শেষবারের জন্য বলছি… শ্রেয়া ঘোষাল কিংবদন্তি, ওঁকে অপমান করা বন্ধ করুন। সোনু নিগম আমার আইডল, এই মুহূর্তে ওঁর সঙ্গে আমার তুলনা এখনই বন্ধ হোক। কেকের উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন, আমার মেন্টর ছিলেন, আমি ওঁর কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে আবেগের সংমিশ্রণে গান গাইতে হয়। মোহিত চৌহান (বাবাজি) এমন একজন যাকে আমি সম্মান করি, আর আতিফ আসলাম যাঁকে আমি খুব ভালোবাসি’।