জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য সতীনাথকে গিয়ে বলে অপর্ণাকে খুব ভালোবাসে আর ওকেই বিয়ে করতে চায়। আর্য বলে যে অপর্ণাও তাকে খুব ভালোবাসে, তাই একে অপরকে ছাড়া বাঁচবে না দু’জনে। আর্য অপর্ণার হাত ভিক্ষা চায় সতীনাথকে আর বলে অপর্ণাকে সারাজীবন সুখী রাখবে। এইসব শুনে হিন্দোলের মাও খুব ক্ষিপ্ত হয়ে যান।
উপস্থিত পাড়া-প্রতিবেশীরা বলে এতদিন ধরে আর্য-অপর্ণার ঘনিষ্ঠতা তারাও লক্ষ্য করেছে, কিন্তু কোনদিনও বিশ্বাস করতে পারেনি এটাই সত্যি হতে পারে। অফিসের বসের সঙ্গে অপর্ণার সম্পর্ক বলে তারা নিন্দা করতে থাকেন। অপর্ণার মা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে বিষয়টা অন্যরকম, আর্য অপর্ণাকে শুধু স্নেহ করে। ভালোবাসার কথাটা তারাও জানত না, এই কথা শুনে হিন্দোলের মা কটাক্ষ করে বলে, কেমন মা তিনি যে মেয়ের মন জানে না।

এদিকে সতীনাথ অর্যকে জানিয়ে দেয়, শুধুমাত্র অপর্ণার থেকে সে বয়সে বড় তা নয়, বরং আগেও একটা বিয়ে রয়েছে। অপর্ণাকে কোনদিনও তার মা-বাবা কারোর দ্বিতীয় স্ত্রী হতে দেবে না। অপর্ণার মাও বলেন আর্য অপর্ণার পাশে বেমানান, হিন্দোলকে তাদের পছন্দ আর তার সঙ্গেই বিয়ে দেবে। হিন্দোল রেগে গিয়ে বলে এমন মেয়েকে সে বিয়ে করবে না, তার মাও বলে অপর্ণা দুশ্চরিত্র। এরপর কোনও কথা না শুনে চলে যায় তারা। হঠাৎ সতীনাথ বুকে হাত দিয়ে নিচে পড়ে মুহূর্তেই মারা যান।
সবাই আর্যকে দোষ দিতে থাকে। এরপর দেখা যায় এই সবটাই আর্যর কল্পনা ছিল। বাস্তব অপর্ণার বিয়ের কথা হলেও সে কিচ্ছু বলে না। এদিকে হিন্দোলের মা চান আজকেই আশীর্বাদ করে যাবেন। সেই জন্য একজোড়া বালা নিয়ে এসেছেন অপর্ণাকে দেবেন বলে। এসব সহ্য না করতে পেরে প্রদীপের আগুনে নিজের হাত দিয়ে ফেলে অপর্ণা। অপর্ণার হাতের অবস্থা দেখে সবাই কষ্ট পেলেও অপর্ণা যেন পাথরের মতো শক্ত।
আরও পড়ুনঃ ‘দুজনেই অত্যন্ত প্রতিভাবান!’ বাংলা টেলিভিশনে প্রবীণরা নাকি কখনও নতুনদের কদর করেন না, কিন্তু সেই ধারণা ভাঙলেন সপ্তর্ষি রায়! শ্রুতি দাস ও আরাত্রিকা মাইতির ভূয়সী প্রশংসায় মাতলেন অভিনেতা
রাজলক্ষ্মী বারবার বলে আর্যকে সব সত্যিটা বলে দিতে, নাহলে হাতের ক্ষত থেকে অপর্ণার মনের ক্ষত আরও বেশি বেড়ে যাবে। কিচ্ছু না বলে আর্য বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অপর্ণা ছুটে যায়, আর্যকে গিয়ে জানায় যে পরিস্থিতির চাপে থাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত হ্যাঁ বলতে হচ্ছে। কিন্তু আর্য চাইলে সবটা ঠিক করতেই পারে। অপর্ণা বলে আর্যকে ছাড়া বাঁচবে না, আর্যও বলে যে অপর্ণাকে অন্য কারোর হতে দেবে না। অপর্ণাকে ভরসা রাখতে বলে আর্য, এবার যা করার সে-ই করবে।