Entertainment

দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এবার সরাসরি পাঙ্গা দীপার! ডক্টর স্যানাল ও জয়ের সাহায্যে ইরার আসল পরিচয় বের করল সে! তারপর?

Anurager Chhowa Today Episode: সুযোগে মানুষকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয় ও তারপর কীভাবে মানুষকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হয় তা সেনগুপ্ত পরিবারের একাংশের থেকে ভাল আর কেউ জানে না। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। গল্পের নায়িকা দীপা। দীপা জীবনের বহুক্ষেত্রে ও বহুবার শ্বশুরবাড়ির পরিবার দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছে। ধারাবাহিকের নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা তারই নজির।

অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব ২৬শে জুন (Anurager Chhowa Today Episode 26th June)

বাংলায় জনপ্রিয় এক প্রবাদবাক্য রয়েছে, ‘কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলেই পাজি।’ সেনগুপ্ত বাড়ির মেয়ে পালক, ছোট কাকি অনুজা আরও একবার প্রমাণ করল ইরার পক্ষ নিয়ে। ইরার অসুস্থতার কথা জানার পর ইরার প্রতি আরও বেশি দয়া বৎসল হয়ে উঠেছে দুজনে। দীপাকে ভুলে, দীপার উপকার ভুলে, ইরার পাশে দাঁড়িয়েছে তারা। এমনকি ইরাকে সেনগুপ্ত বাড়ির বড় বউ অর্থাৎ সূর্যের স্ত্রীর তকমা দিয়ে দিয়েছে দুজন।

এদিকে, ইরাকে বরাবরই সন্দেহের নজরে দেখেছে দীপা। তাই ইরার ঠিকুজি কুষ্ঠি জানতে এবার সূর্যের ডক্টর স্যানালের স্বরণাপন্ন হয়েছে সে। ডক্টর স্যানালের সূত্র কাজে লাগিয়ে গত পাঁচ বছরের কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলির ছাত্র-ছাত্রীর নাম খুঁজে বের করেছে সে। তবে সেই তালিকায় নাম নেই ইরার। অর্থাৎ, দীপার সন্দেহ অহেতুক নয়।

ইরা যে শুধু ডাক্তারবাবুর স্ত্রীর অধিকার বুঝে নিতে এসেছে তা নয়। ইরা এসেছে কালো পেনড্রাইভের খোঁজে। তবে ইরাকে হাতেনাতে ধরতে লাগবে প্রমাণ। আর এই প্রমাণ এককাট্টা করার জন্য ইরাকে তার উদ্দেশ্যে সফল হতে হবে। এদিন ডক্টর স্যানাল বলেন, সূর্যর হওয়া বদল প্রয়োজন। হওয়া বদলাতে ইরা যেন সূর্যকে তাদের আগের বাড়িতে নিয়ে যায়। তাহলেই ফিরে আসবে সূর্যের স্মৃতি। তবে দীপা সেখানে যেতে পারে না।

আরো পড়ুন: জি বাংলায় পরপর ধাক্কা! হঠাৎ শেষ শুটিং হয়ে গেল জনপ্রিয় ধারাবাহিকের, কিন্তু কেন?

কারণ দীপা সূর্যের প্রাক্তন স্ত্রী। স্মৃতি ফিরে আসার পর দীপাকে দেখে সূর্যের মনে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। দীপার হাজার বারণ করা সত্ত্বেও ডক্টর চেপে ধরে। বাধ্য হয়ে ইরার হাতে সূর্যকে সঁপে দিতে হয় দীপাকে। আসলে এসবই ইরাকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা। ডক্টর স্যানাল, তবলা ও দীপা মিলে ইরাকে ফাঁদে ফেলার মোক্ষম পরিকল্পনা করেছে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।