জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পর্দায় ডাক্তার হলেও বাস্তব জীবনে পড়াশোনার হাল বেহাল দিব্যজ্যোতির! পাশ করেননি স্নাতক!মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে কেমন ফল করেছিলেন অভিনেতা?

গতকাল প্রকাশ্যে এসেছে মাধ্যমিকের ফলাফল। সমস্ত সংবাদ মাধ্যমেই চর্চা চলছে মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে। মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা নানা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তাদের পড়াশোনার প্রস্তুতি, অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। গতকাল মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন টলি তারকা সুস্মিলি আচার্যও। এইসব দেখেই সাধারণ মানুষের মতোই পুরোনো স্মৃতিচারণ করেছেন জনপ্রিয় তারকারাও।

গতকাল জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে নিজের মাধ্যমিকের রেজাল্ট এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন বর্তমানে বাঙালি মেয়েদের ক্রাশ, অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত ওরফে আপনাদের প্রিয় অনুরাগের ছোঁয়ার সূর্য। এখনও পর্যন্ত ২৫ সের গণ্ডি পার করেননি অভিনেতা কিন্তু তার মধ্যেই চার চারটি হিট মেগা সিরিয়ালের প্রধান মুখ হিসেবে সকলের সামনে ধরা দিয়েছেন তিনি। তবে ধারাবাহিকের পর্দার সূর্য কিন্তু বাস্তব জীবনে মোটেও পছন্দ করেন না সায়েন্স। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই রিল আর রিয়েলের মধ্যেকার সবচেয়ে বড় পার্থক্য।

অভিনেতা জানিয়েছেন “না মাধ্যমিকে আমি ফার্স্ট ডিভিশন পাইনি, সেকেন্ড ডিভিশন পেয়েছিলাম। বেকার লুকিয়ে তো কোন লাভ নেই, তবে আমার পার্সেন্টেজটা সত্যিই মনে নেই। আমি অঙ্কে খুবই খারাপ ছিলাম তবে আর্টসে ভালো নম্বর এসেছিল বলেই হয়তো সেকেন্ড ডিভিশন পেয়েছিলাম। তবে আমি বায়োলজিতে ভালোই ছিলাম। জীবন বিজ্ঞানেও তাই ঠিকঠাক নম্বর এসেছিল। তবে সায়েন্সের ভালো সাবজেক্টগুলোতে খুব বাজে নম্বর পেয়েছিলাম। আসলে মাধ্যমিকে আমার সব বিষয় পছন্দ ছিল না তাই এরকম মোটামুটি ফল হয়েছিল।”

তবে রেজাল্টের চিত্রটা পালটেছিল উচ্চমাধ্যমিকের সময়। উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন অভিনেতা দিব্যজ্যোতি। উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে অভিনেতা জানিয়েছেন “আমার মাধ্যমিকের নম্বরটা উচ্চমাধ্যমিকে রিকোভার করে ফেলেছিলাম। আমি ক্লাস টুয়েলভের টেস্ট পরীক্ষায় গোটা স্কুলের মধ্যে থার্ড হয়েছিলাম। উচ্চ মাধ্যমিকে ফাস্ট ডিভিশনেই পাশ করেছি। এরপর দক্ষিণ কলকাতার অ্যানড্রুজ কলেজে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। যদিও স্নাতক দেশ হওয়ার আগেই আমি জয়ী ধারাবাহিকের সুযোগ পেয়ে যাই। পড়াশোনা আর ১২ ঘণ্টার শুটিং সামলাতে পারছিলাম না তাই পড়া ছেড়ে দিই।”

আরো পড়ুন: মা তাঁর ছায়া! মায়ের অ’সুস্থতায় ভেঙে পড়েছিলেন শ্বেতা! মায়ের অসুস্থতা, সঙ্গে শুটিংয়ের চাপ! অকপট অভিনেত্রী

তবে ওপেন ইউনির্ভাসিটিতে পড়তে নারাজ দিব্যজ্যোতি। যদিও স্নাতক ডিগ্রি না থাকার আসফোসটা রয়েছে এখনও। অভিনেতার কথায়, আমি এডুকেশন ছাড়া কোন‌ও ডিগ্রি চাইনা। যেটা পাবো সেটা ভালোভাবে পড়াশোনা করেই পেতে চাই। সবটাই জানে আমি ফিটনেস নিয়ে খুব সচেতন। আমি NFNA (national fitness and nutrition academy) থেকে নিউট্রিশনের বেসিক নিয়ে পড়াশোনার করেছি আর এখন আমি ওখান থেকেই নিউট্রিশন নিয়ে ডিপ্লোমা করছি।” বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি পুষ্টিবিদ হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন অভিনেতা। তবে বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে না তাকে, আবার কবে ফিরতেন তিনি পর্দায়? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন “সবটাই গল্পের উপর নির্ভর করছে। এখন ধারাবাহিকে সূর্যের ট্র্যাক নেই।”

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।