বর্তমানে প্রায়ই এখন বাংলা টিভি (Television) তারকাদের মঞ্চে শো করতে দেখা যায়। এমনকি অনেক সময় মঞ্চে বিভিন্ন ধরনের গান, নাচ ও খোলামেলা পরিবেশে তারা পারফর্ম করেন। তবে এই ধরনের শো এবং অনুষ্ঠানগুলিতে কিছু মঞ্চে হালকা মেজাজের ভোজপুরি গানের প্রচলনও দেখা যায়। কিন্তু বাংলা সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিছু শিল্পী এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলিতে অংশ নিতেও অস্বীকার করেন, এবং এর বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদ জানান।
অভিনেত্রী দিব্যানী মন্ডল, যিনি “ফুলকি” সিরিয়ালের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তার শক্ত অবস্থান প্রকাশ করেছেন। বাংলার সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তার সাহসী পদক্ষেপ বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় নতুন পথ দেখাচ্ছে, এবং তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, বাংলার মাটিতে শুধু বাংলা গানই চলবে, অন্য কিছু নয়।
সম্প্রতি কলকাতায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, যেখানে ভোজপুরি গান গাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দিব্যানী মন্ডল মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন। “বাংলায় এসে বাংলা গানই শুনতে হবে, এটা বিহার নয় যে ভোজপুরি গাইবো!”—এই মন্তব্য করে তিনি সকলের সামনে বাংলা সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষা করতে আহ্বান জানান।
একের পর এক বাঙালি শিল্পীরা রুখে দাঁড়াচ্ছে!
— Garga Chatterjee (@GargaC) December 27, 2024
বাংলার পবিত্র মাটিতে কোন ভোজপুরি চলবেনা!
জয় মা কালী! বাংলায় রাজত্ব করবে বাঙালি!
বাংলা পক্ষ এক চেতনার নাম।
অনুষ্ঠান মঞ্চে ভোজপুরি গাইতে অস্বীকার করলেন বাঙালি অভিনেত্রী "ফুলকি" সিরিয়ালের দিব্যানী মন্ডল।
"কচাকচ" বা "ললিপপ লাগেল" হটাও! pic.twitter.com/arM5nT6Lwx
এই ঘটনার পর থেকে, দিব্যানী মন্ডলের এই প্রতিবাদকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রতি তার আস্থা ও শ্রদ্ধা আজকে আরও দৃঢ় হয়েছে। উপস্থিত ভক্তরা তার এই সাহসী অবস্থানকে প্রশংসা করেছেন এবং এটি বাংলা সংস্কৃতির প্রতি এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনঃ লোকের বাড়ি রান্না করা থেকে আয়ার কাজ, রুবেলকে বড় করতে সব করেছে তার মা! সফল হয়ে মায়ের চোখের জল মুছেছেন নায়ক
অনেকের মতে এই ধরনের পদক্ষেপগুলি বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি অধিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসার জন্ম দেবে। এর ফলে বাংলা শিল্পী সমাজের মধ্যে আরও সংহতি আসবে এবং বাংলা সংস্কৃতির শক্তি এবং ঐতিহ্য সুরক্ষিত থাকবে। দিব্যানীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বাংলার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একটি নতুন দিশারী হয়ে উঠতে পারে।