বাংলা ধারাবাহিকের জগতের একজন জনপ্রিয় মুখ তিনি। সু’দ’র্শ’ন, শান্ত, সৌ’ম্য’কা’ন্তি চেহারার অধিকারী তিনি। টেলিভিশন হোক বা সিনেমার পর্দা বেশিরভাগ তাঁকে দেখা গিয়েছে ভালো মানুষের চরিত্রে। স্পষ্ট বক্তা এই অভিনেতা জীবনে নাকি বারবার ঠ’কে’ছেন ভরসা করে। এক্ষেত্রে অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের (Bhaswar
Chattapadhyay) অভিযোগ তাঁর প্রা’ক্ত’ন দুই স্ত্রীকে নিয়ে। প্রথম স্ত্রীর জন্য দু’দিন জে’ল খা’ট’তে হয়েছিল তাঁকে। দ্বিতীয়বার ভরসা করে উত্তম কুমারের নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘর বেঁধে ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে মুখ খু’লে’ছে’ন অভিনেতা। বর্তমান সময়ে যত দ্রু’ত’তা’র সঙ্গে মানুষ সম্পর্কে জড়াচ্ছে ততই পা’ল্লা দিয়ে বাড়ছে বি’চ্ছে’দে’র খবর। তবুও সম্পর্কের ওপর আ’স্থা রেখে বি’য়ে করছেন তারকারা। তবে জীবনে দু’বার বিয়ে করে শুধু য’ন্ত্র’ণা’ই পেয়েছেন ভাস্বর। অভিনেতার মতে, নি’র্দো’ষ হওয়ার শর্তেও ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ক’টূ’ক্তির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে তাঁর চ’রি’ত্র নিয়ে। তাঁর আর চু’প থাকবেন না তিনি।
২০০৬ সালে খবরের কাগজ দেখে সম্বন্ধ করে প্লাবনী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আ’ব’দ্ধ হয়েছিলেন ভাস্বর। যদিও বিবাহের স্থা’য়ি’ত্ব’কাল ছিল মোটে চার মাস। বিয়ের তিন মাসের মাথায় তিনি জানতে পারেন বাবা হতে চলেছেন তিনি। সেইদিন তিনি বালিগঞ্জ কোর্টের শুটিংয়ের জন্য ছিলেন লন্ডনে।স্বাভাবিকভাবেই খুব আনন্দিত ছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ি ফিরেই তিনি বুঝতে পারেন পা’ল্টে গেছে সবটাই। অভিনেতার মতে প্লাবনী সকালে বেরিয়ে যেতেন এবং রাত করে বাড়ি ফিরতেন। একদিন আচমকা প্লাবনী পে’টে’র য’ন্ত্র’ণার শুরু হয়। ডাক্তার তাঁকে জানান গ’র্ভ’পা’ত করিয়েছেন প্লাবনী। তারপরই প্লাবনী অভিনেতাকে জানিয়েছিলেন বাড়ির লোক জোর করে বিয়ে দিয়েছিল তাঁকে।
যদিও বিয়ের আগে কিছুই জানতেন না তিনি। শুরু হয় তর্কবিতর্ক। বাপের বাড়ি গিয়ে বধূ নি’র্যা’ত’নের মা’মলা করেছিল প্লাবনী। দু’দিন জে’লও খা’টতে হয়েছে তাঁকে। এরপরই কো’র্টে ওঠে মা’ম’লা। অভিনেতা বলেছেন “ও আমায় দেখে হাসি ঠাট্টা করত। গায়ে কা’লি লাগিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বলেছে আমি মে’রে’ছি। যদিও পরে আমি কেস জিতে গেছিলাম তবে আমার ভাব মূ’র্তি ন’ষ্ট হয়েছিল। মনে হয় প্রথম বিয়েটা ক’ল’ঙ্কে’র দাগ।“ এই ঘটনার ৭ বছর পর নিজের পছন্দেই অভিনেতা বি’য়ে করেছিলেন নবমিতাকে। তবে ৫ বছরের এই দা’ম্প’ত্য জীবনও হয়নি সুখ’ক’র। ২০০৩ সাল থেকে পরিচয়। ধীরে ধীরে বাড়ে ভালোলাগা। ২০১৩ সালে বিয়ে। কিন্তু মধু’চ’ন্দ্রি’মায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে আছে নবমিতা।
আরও পড়ুন: “শহরটাকে উঁচু থেকে দেখব, এই চ্যা’লে’ঞ্জ নিয়েছিলাম!” অ’ক্লা’ন্ত পরিশ্রম করে স্ব’প্ন’পূ’র’ণের গল্প শোনালেন পর্দার অনির্বাণ আভিনেতা সুমন
তারপর থেকেই চলেছে সুখী দম্পতির অভিনয়। অভিনেতার ওপর শ’র্ত চাপিয়ে দিতে শুরু করে নবমিতা। বলেছিলেন বাবা মাকে ছাড়তে হবে। কিন্তু নবমিতার এই দাবি মানেননি ভাস্বর। অভিনেতা জানিয়েছেন “একদিন মাঝরাত্রে চলে রণজিতের (নবমিতার প্রেমিক) সঙ্গে চলে গিয়েছিল। ভোর চারটে নাগাদ ফিরে এসে জিনিসপত্র নিয়ে চলে গিয়েছিল।“ যদিও তারপর নবমিতা তাঁকে জানায় তিনি অভিনয় কো’র্টে চান। অভিনেতা কথা বলে বাজলো তোমার আলোর বেণু ধারাবাহিকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন অভিনয়ের। অভিনেতা জানিয়েছেন সমস্ত প্রমাণ আছে তাঁর কাছে। যদিও এত করেও টেকেনি সম্পর্ক। এরপর ২০২০ সালে বিবাহ বি’চ্ছে’দ হয়ে যায় তাদের। নবমিতা চলে যাওয়ার পর আ’ত্ম’হ’ত্যার সি’দ্ধা’ন্ত নিয়েছিলেন তিনি। নবমিতার চলে যাওয়ার পরই কাশ্মীরে যাতায়াত বেড়েছে অভিনেতার। তবে জানিয়েছেন আর বিয়ে করতে চাননা তিনি। বই, অভিনয়ের জীবনই তার শ্রেয়।
