জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘সবাই স্কুলে যেত, খেলতে যেত, আমি শুটিংয়ে যেতাম!’ অল্প বয়সেই মাথায় চেপেছিল সংসারের দায়িত্ব! দিতি প্রিয়ার কঠিন সময়ের কথা জানেন?

দিতিপ্রিয়া রায় বাংলা টেলিভিশন (Television) ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম আলোচিত এবং প্রিয় মুখ। ‘রানি রাসমনি’ সিরিয়ালে রানিমার চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। তীব্র পরিশ্রম এবং অদম্য মনোভাবের সঙ্গে অভিনয় জগতে সফলতা অর্জন করেছেন তিনি। তার পরবর্তী সিরিয়াল ‘পরিণীতা’ও টেলিভিশন দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার চরিত্রের গভীরতা, অভিনয়ের সৌন্দর্য্য এবং চ্যালেঞ্জিং রোলগুলো তাকে প্রমাণিত অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

অল্প বয়সে পেশাগত জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে দিতিপ্রিয়া রায় তাড়াতাড়ি ম্যাচিউর হতে শিখেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমাকে অনেক তাড়াতাড়ি ম্যাচিউর হতে হয়েছিল।” ছোটবেলায় যতটা না আনন্দের মুহূর্ত ছিল, তার চেয়েও বেশি সময় কাটিয়েছেন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে। অভিনয়ে সফলতার জন্য, তিনি জানতেন যে তার নিজের মানসিকতা এবং বুদ্ধিমত্তা দ্রুত পরিণত করতে হবে।

Ditipriya Rani rashmoni

দিতিপ্রিয়া জানিয়েছেন, তার জীবনের নানা পরিপ্রেক্ষিত তাকে ম্যাচিউর হওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি বরাবরই সাবধানে এগিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রথম দিকে যখন আমি কাজ শুরু করি, তখন অনেক কিছুই বুঝতে পারতাম না। কিন্তু এখন বুঝি, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।” একজন অভিনেত্রী হিসেবে তার এই গভীর জীবনদৃষ্টিভঙ্গি তাকে নিজের চরিত্রে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

দিতিপ্রিয়া আরও বলেন, “আমার খুব ভয় লাগে। আমার দায়িত্ব নিতে খুব ভয় করে।” দর্শকদের আস্থা অর্জন করতে এবং তাদের বিশ্বাসের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি সবসময় সতর্ক। তার মতে, সম্পর্ক বা কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা পুরোপুরি ভেবে দেখাটা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও যোগ করেন, “আজ পর্যন্ত কাউকে দেখে মনে হয়নি এই মানুষটাকে ছাড়া চলতে পারব না,” যা তার চিন্তাভাবনার গভীরতা ও ম্যাচিউরিটির পরিচায়ক।

দিতিপ্রিয়া রায় ভবিষ্যতে আরও বড় চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রস্তুত। তার মতে, “আমার এখনও অনেক কিছু শেখার আছে, আর এই পথ চলতে চলতে আরও ভালো অভিনয় প্রদর্শন করতে চাই।” একে অপরের সাহায্যে, সম্পর্ক এবং পেশাগত জীবনে আস্থার সঙ্গে এগিয়ে যেতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তার এই পরিণত মনোভাব তাকে আরও সফলতা এবং সম্মান এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে তার ক্যারিয়ারকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। দিতিপ্রিয়া রায়ের জীবন ও কাজের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে, যা তার ম্যাচিউরিটি প্রদর্শন করে। এই অভিনেত্রী তার শৈশবের অভিজ্ঞতা এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে গ্রহণ করে নিজেকে আরও উন্নত করেছেন। তার এই পরিণত চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি তাকে আরও সফল এবং প্রশংসিত অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

Tolly Tales