টলি পাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা রুবেল দাস(Rubel Das) যিনি বর্তমানে ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem phooler madhu) ধারাবাহিকে সৃজন চরিত্রে অভিনয় করছেন, তিনি আসন্ন বিয়ে করতে চলেছেন। আগামীকাল, রবিবার সাতপাকে বাঁধা পড়বেন রুবেল, যার সাথে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করবেন নায়িকা শ্বেতা ভট্টাচার্য। দর্শকদের কাছে ‘পর্ণা’ এবং ‘সৃজন’ জুটি কতটা জনপ্রিয়, তা জানাই যাচ্ছে, কিন্তু আসল খবরটি আরো ঘনিষ্ঠভাবে পল্লবী শর্মা এবং তার উপস্থিতি নিয়ে।
‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকে ‘পর্ণা’ চরিত্রে অভিনয় করা পল্লবী শর্মা, যা সৃজন ও পর্ণার সম্পর্কের কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, বিয়ের খবর পেয়ে খুবই খুশি। গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে তাদের পর্দার সম্পর্ক গড়ে উঠলেও বাস্তবে রুবেলের জীবনের সত্যি গল্প এবার ভিন্ন দিকে মোড় নেবে। বিয়ের প্রস্তুতি চলছে, তবে পল্লবী শর্মা জানিয়েছেন, তিনি নিজে ভীষণ আনন্দিত সেটা এবং রুবেলের বিয়ে নিয়ে। অভিনেত্রীর মনোভাব একদম খোলামেলা ও আনন্দদায়ক।
অভিনেত্রী পল্লবী জানান, রবিবার রুবেলের বিয়ে এবং তার সঙ্গে প্রীতিভোজে যোগদান করার জন্য তিনি সাজ প্রস্তুত করছেন। এমনকি, বিয়ের অনুষ্ঠানে সাজসজ্জার ব্যাপারে তাঁর পছন্দও স্পষ্ট। “সবসময় আমি শাড়ি পরতে ভালোবাসি, এবং বিশেষ দিনগুলোতে সাবেকি সাজ খুব পছন্দ করি,” বললেন অভিনেত্রী। পল্লবী আরো জানিয়েছেন, “রুবেলের বিয়েতে আমি শাড়ি পরে উপস্থিত হবো, কারণ এমন উপলক্ষে কিছু বিশেষ হওয়া উচিত।”
রুবেল এবং শ্বেতার বিয়ের জন্য দুটি কার্ড প্রকাশ্যে এসেছে। শ্বেতার বিয়ের কার্ডটি একটি হাতে আঁকা গ্রিটিংস কার্ডের আদলে তৈরি হয়েছে। কার্ডের ডিজাইনটি শ্বেতার কিশোরী বয়সের স্মৃতির প্রতি একটি শ্রদ্ধারূপ। রুবেল দাসের বিয়ের কার্ডে প্রীতিভোজের নিমন্ত্রণ রাখা হয়েছে, এবং এটি রুবেলের ব্যক্তিগত জীবনের এক বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। রুবেল তাঁর পর্দার নায়িকা পল্লবীকে প্রীতিভোজের নিমন্ত্রণ কার্ড দিয়েছেন, এবং পল্লবী তাঁর মন্তব্যে জানিয়েছেন, “এটি কিছুটা যেন বাড়ির ছেলের বিয়ের মতো মনে হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ ‘সবাই স্কুলে যেত, খেলতে যেত, আমি শুটিংয়ে যেতাম!’ অল্প বয়সেই মাথায় চেপেছিল সংসারের দায়িত্ব! দিতি প্রিয়ার কঠিন সময়ের কথা জানেন?
বিয়ের পর, শ্বেতা ও রুবেলের জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। তবে পল্লবী শর্মা জানিয়েছেন, তাঁর পুরো মনোযোগ এখন একটাই—রুবেলের বিয়ে এবং সেই দিনটি সঠিকভাবে উপভোগ করা। তাঁর সবচেয়ে বড় আশা, শুটিংয়ের ছুটি পেলে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা সম্ভব হবে। শ্বেতার বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে কিছুটা আনন্দিত হলেও, পল্লবী এখন শুধুই ঠাকুরের নাম জপছেন, যেন শুটিংয়ের জন্য কিছু সমস্যা না হয় এবং সাজগোজের জন্য সময় পাওয়া যায়।