জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দুটি রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার জন্য অরিজিতের পারিশ্রমিক ৩ কোটি টাকা! শুনে হাঁ বাবুল!

বাংলা সহ সমগ্র ভারতের বিনোদন জগতের অন্যতম সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ-এর এই গায়ক কেবল নিজের দেশেই নয় বরং বিশ্বব্যাপী এই গায়কের রয়েছে নামডাক। প্রসঙ্গত, এই গায়ক কেবল তার গানের মাধ্যমেই দর্শকদের মন জিতেছে তা নয় তাঁর নম্র ব্যবহারে প্রশংসা কুড়িয়েছে আপামোর জনতার। তবে, জানেন কি, অসামান্য প্রতিভার অধিকারী গায়ক অরিজিতের পারিশ্রমিক স্বরূপ কত টাকা নেন?

মুম্বাইয়ের এক খ্যাতিনামা অডিও সংস্থা ৬টি রবীন্দ্র সঙ্গীতকে অনুবাদ করার প্রয়াস নিয়েছে। আর এই বিশেষ কাজের জন্য বি-টাউনের প্রিয় গানের লেখক অমিতাভ ভট্টাচার্য দায়িত্বভার তুলে দিয়েছে বাবুল সুপ্রিয়োর হাতে। নতুন এই হিন্দি গানে কন্ঠ দিয়েছে স্বয়ং বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে শ্রেয়া ঘোষাল, শান, মধুবন্তী বাকচী।

image 42

এই গানের অ্যালবামে অরিজিৎ সিংয়েরও একক এবং দ্বৈত গান গাওয়ার কথা ছিল। তবে, কী কারণে শিল্পীদের তালিকায় রইল অরিজিতের অনুপস্থিতি? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলার শিকড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার জন্য বাবুল সুপ্রিয়কে বিশেষভাবে অরিজিতের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হয়।

কিছুদিনের মধ্যে ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’খ্যাত গায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও অরিজিৎ সিং-এর তরফ থেকে জানানো হয় প্রতি গানের জন্য পারিশ্রমিক লাগবে দেড় কোটি টাকা। এই শুনে রীতিমতো চক্ষু চরম গাছ হয় বাবুলের। জানা গেছে, এই এলবামের বাকি সঙ্গীত শিল্পীরা তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিকের থেকেও কম পারিশ্রমিকে গান গেয়েছেন। কিন্তু, পরবর্তীকালে অরিজিৎ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

জগতের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে এই কথা জানতে পেরে শহরের এক সংবাদ মাধ্যম বাবুল সুপ্রিয় সঙ্গে যোগাযোগ করায় তিনি বলেন, “হ্যাঁ এটা সত্যি। এটা তো কোনও বাণিজ্যিক উদ্যোগ নয়। রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই এই কাজের মূল উদ্দেশ্য। প্রতিটি গানের জন্য দেড় কোটির পারিশ্রমিক চাওয়াটা আমার কাছে খুব অনুচিত। আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমরা নিজেরাও কম পারিশ্রমিকে কাজ করেছি। আমরা তো জানি অরিজিৎ খুব সাদামাঠা জীবনযাপন করে। আমরা তা-ই দেখেছি। সে ক্ষেত্রে এই টাকার অঙ্কের সঙ্গে অরিজিৎকে মেলাতে পারছি না। বিশেষ করে যখন গানগুলি গাওয়ার ব্যাপারে ওর সঙ্গে আমার, শুধু পারিশ্রমিক ছাড়া, আর সব ব্যাপারে ফোনে বিস্তারিত কথা হয়েছিল!”

বাংলার গায়ক বাবুল আরও বলেন, “এই অঙ্কের পারিশ্রমিক শুনে মুম্বইয়ের যে খ্যাতনামী অডিয়ো সংস্থা এটা রেকর্ড করছে, তার কর্ণধার অরিজিতের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি রয়্যালটি ইত্যাদিরও প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু ওকে রাজি করানো যায়নি। আমরা সকলে খুবই আশাহত। গত সপ্তাহে মুম্বই গিয়ে শ্রেয়ার দু‘টি গান, শান ও মধুমন্তীর গানগুলি ডাব করে এসেছি। সব বাঙালি গায়ক-গায়িকাকেই হিন্দি সংস্করণটিতে চেয়েছিলাম তাই অমিতাভ ভট্টাচার্যকে দিয়ে গানগুলি লেখানো হয়েছে। খুবই পরিশ্রম করেছি আমরা, যাতে রবীন্দ্রনাথের গানের হিন্দি সংস্করণ করতে গিয়ে মূল গানগুলির ভাব পরিবর্তন না হয়। জানি না, অরিজিৎ খুব সাদামাঠা ভাবেই জীবনযাপন করে বলে জানি, জঙ্গিপুরে স্কুটারে ঘোরার ছবি, ভিডিয়ো দেখি, তা হলে বাঙালি হিসাবে রবি ঠাকুরের গান গাইতে কী এমন হল সেটা ঠিক বুঝতে পারছি না। আমাদের কাছে রবীন্দ্রনাথের গান স্বাভাবিক ভাবেই শ্রদ্ধামিশ্রিত! অরিজিৎকে নিয়ে ভাবা গানগুলি ওকে ছাড়া ভাবতেই পারছি না”।

Piya Chanda