বর্তমানে চ্যানেল টপার ধারাবাহিক কথা। প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিকের কাহিনীতে নতুন নতুন চমক আসার কারণে পর্দায় ধারাবাহিকটি বেশ উপভোগ করছেন দর্শকরা। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা গেছে মারা গেছেন কথার মামা। এরপরই প্রিয়াঞ্জলির জন্য আসা সম্বন্ধ দেখতে যাওয়ার জন্য দাজিলিং যাওয়ার পরিকল্পনা করে গুহ পরিবার। সেখানেই কায়দাকানুনের সঙ্গে কথাকেও নিয়ে যাওয়ায় প্রস্তাব দেন বড়রা। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় এভি।
কি দেখানো হয়েছে কথা ধারাবাহিকের প্রোমোতে?
পাহাড়ে এসেও সন্ধেবেলায় জঙ্গলের কাছে একটি পাহাড়ের খাদের ধারে একাকি বসে থাকে কথা। মামার স্মৃতি মনে করেই কাঁদতে থাকে সে। একসঙ্গে সে এটাও ভাবতে থাকে পাচক মশাই অর্থাৎ এভি কি আদৌ তাকে কোনদিনও স্ত্রীর মর্যাদা দেবে? তখনই পিছন থেকে তাকে ডাক দেয় এভি। কথার গায়ে জ্যাকেট জড়িয়ে দিয়ে সে বলে “তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেলে এইসময় পাহাড়ি জঙ্গলে একটা বসে আছিস?” তখনই এভিকে পাল্টা প্রশ্ন করে কথা “আপনি কি আমাকে কখনও স্ত্রী বলে মেনে নেবেন? তাহলে আমাদের কিসের সম্পর্ক?” উত্তরে কথাকে চুপ করিয়ে দিয়ে ভিতরে আসতে বলে এভি। তখনই জঙ্গলের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে সে? জানেন কে? চিতাবাঘ। তাকে দেখেই হাড়হিম হয়ে যায় কথার। কথাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে এভি। কিন্তু সে কিভাবে কথাকে বাঁচাবে এবার সেটার দেখার পালা।
কথার প্রোমো দেখে কি বলেছেন নেটিজনরা
ধারাবাহিকের এই প্রোমোটি দেখেই হেসে খুন নেটিজেনরা। আসলে দার্জিলিং-এ রেড পান্ডা, চিতাবাঘ, ভাল্লুক থাকলেও তাদের দেখা পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। আর সেখানেই প্রথমবার পাহাড়ে গিয়েই চিতাবাঘের দর্শক পেল কথা আর এভি। সেটা ভেবেই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন নেটিজেনরা তার সঙ্গে খারাপ ভিএফএক্সের কারণেও হেসেছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের এই প্রোমোটি দেখেছেন ১০লাখেরও বেশি মানুষ। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শেয়ার এবং কমেন্ট। একজন লিখেছেন “এটা দার্জিলিং না কিরণমালার অচিনপুর?” দ্বিতীয় ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন “কত ভাগ্য হলে দার্জিলিং গিয়ে চিতাবাঘ দেখা যায়!” তৃতীয় ব্যক্তি লিখেছেন “দার্জিলিংয়ে আজকাল গাঁজারও চাষ হয় নাকি চায়ের সঙ্গে।” চতুর্থ ব্যক্তি লিখেছেন “ভাগ্যিস লেখা ছিল বাঘটি গ্রাফিক্স নাহলে আমি তো সত্যি ভেবে এখনই টিকিট কাটতে যাচ্ছিলাম।” পঞ্চম ব্যক্তি লিখেছেন “শুধু বাঘকে দেখা নয়, লড়াই করে বউকে বাঁচানোও মুখের কথা নাকি?”
আরও পড়ুন: এ কেমন মা! জামাই মরে মরুক টাকা খরচ করতে হবে বলে পুতুলের দায়িত্ব নিতে নারাজ মধুবালা
কথা ধারাবাহিকের গল্পকে সমর্থন করে কি লিখেছেন নেটিজেনরা?
তবে নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই আবার সমর্থন করেছেন ধারাবাহিকের কাহিনীটিকে। একজন নেটিজেন লিখেছেন “দার্জিলিংয়ের জঙ্গলেই শুধু নয়, জলপাইগুড়ির চা বাগান মনে চালসা, মালবাজার, নাগরাকাটা সহ এই সমস্ত জায়গার চা বাগানে চিতাবাঘ দেখা যায়। যদিও এখন খুব রেয়ার। আগে অনেক দেখা যেত বলে শুনতাম। নেওড়া থেকে শুরু করে বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত সমস্ত ফরেস্ট এরিয়াটা ইন্টারকানেক্টেড।”
দ্বিতীয় ব্যক্তি লিখেছেন “এই চিতা দেখা না গেলেও কিছু অন্য প্রজাতির লেপার্ড দেখা যায়। এমনকি ব্ল্যাক প্যান্থারের একটি প্রজাতিরও দেখা যাওয়া যায়।” তৃতীয় ব্যক্তি লিখেছেন “প্রথমত চিতা আর চিতাবাঘ আলাদা। আর দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় হামেশাই চিতাবাঘ দেখা যায়। সুতরাং এখানে ভুল কিছু দেখায়নি কিন্তু যেভাবে দেখিয়েছে সেটা হয়তো হাস্যকর লাগছে।”