জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতে শানুর কাছ থেকে তিনি মানসিক ও শারীরিক অ’ত্যা’চারের শিকার হয়েছিলেন তিনি! এবার সেই প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি গায়কের!

প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এ বার কঠোর আইনি পথে হাঁটলেন জনপ্রিয় গায়ক কুমার শানু। মুম্বই হাই কোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করে রীতার কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শানুকে ঘিরে একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন রীতা। সেই মন্তব্যগুলি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই আইনি পদক্ষেপে এগোলেন গায়ক। শানুর দাবি, ওই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা তাঁর দীর্ঘদিনের গড়ে তোলা ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

শানুর আইনি আবেদনে আরও বলা হয়েছে, যে সব সংবাদমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রীতার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে, সেখান থেকে অবিলম্বে ওই বক্তব্য সরিয়ে ফেলতে হবে। গায়কের অভিযোগ, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনকে প্রকাশ্যে এনে তাঁকে অপমান করা হয়েছে। তাঁর মতে, এই ধরনের মন্তব্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্মান নয়, পেশাগত ভাবমূর্তিতেও আঘাত হানে। তাই বিষয়টিকে আর হালকাভাবে নেওয়া সম্ভব নয় বলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রায় কুড়ি বছর আগে কুমার শানু ও রীতা ভট্টাচার্যের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রীতা দাবি করেছিলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও শানুর কাছ থেকে তিনি মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের শিকার হন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সেই সময় ঠিকমতো খাবার বা চিকিৎসাও নাকি পেতেন না তিনি। এমনকি বেঁচে থাকার জন্য নিজের গয়না বিক্রি করতে হয়েছিল বলেও দাবি করেন রীতা। পাশাপাশি শানুর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি।

রীতার এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন কুমার শানু। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই আইনজীবী সানা রইস খানের মাধ্যমে রীতাকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিসে রীতার সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উল্লেখ করা হয়। শানুর পক্ষের আইনজীবীর দাবি, পুরনো ব্যক্তিগত বিষয়কে নতুন করে তুলে এনে জনসমক্ষে আলোচনা তৈরি করাই এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য।

আইনি নোটিসে আরও বলা হয়েছিল, গত চার দশক ধরে কুমার শানু সঙ্গীত জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। তাঁর কণ্ঠে গান শুনে আনন্দ পেয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। এই ধরনের অভিযোগ সাময়িকভাবে আলোড়ন তুলতে পারে, কিন্তু একজন শিল্পীর দীর্ঘ সাধনা ও অবদানকে কলুষিত করতে পারে না। সেই বিশ্বাস থেকেই এবার আদালতের মাধ্যমে ন্যায্য প্রতিকার চাইছেন গায়ক।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page