জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

খলচরিত্রহীন দাবি নিয়েই হয়েছিল শুরু! পর্ব সম্প্রচারের পর ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’-তে অহনা দত্তের কুন্তলিনীকে দেখেই ভিন্ন ইঙ্গিত পাচ্ছেন দর্শক! ভক্তি আর প্রেমের মাঝে লুকিয়ে কোন দ্বন্দ্ব? তবে কি অহনাই এই গল্পের খলনায়িকা?

জি বাংলার চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’ (Tare Dhori Dhori Mone Kori) আর শুরু হতেই দর্শকের নজর কেড়েছে গল্পের গতি ও আবহে। পল্লবী শর্মা ও বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন জুটিকে নিয়ে আগ্রহ ছিল প্রথম থেকেই, তবে সম্প্রচার শুরুর পর কৌতূহল যেন আরও বেড়েছে। প্রথম কয়েকটি পর্বেই বোঝা যাচ্ছে, প্রেম আর ভক্তির মিশেলে তৈরি হলেও গল্পটি একেবারে সোজাসাপ্টা পথে হাঁটছে না!

প্রতিটি পর্বে রহস্যের আবরণ খুলছে এক এক করে আর সেখানেই যেন দর্শকরা একটা টান অনুভব করছেন। পল্লবীকে এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে ‘রূপমঞ্জরি’ চরিত্রে। যে কিনা শুরু থেকেই সংসারে প্রতিষ্ঠিত, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কেও কোনও টানাপড়েন নেই। ছোট পর্দায় যেখানে শাশুড়ি-বউ বা পারিবারিক দ্বন্দ্বই মূল রসদ হয়ে ওঠে, সেখানে এই গল্পের শুরুটা বেশ আলাদা। বিশ্বরূপের ‘গোরা’ চরিত্রও এখানে ব্যতিক্রমী। সে আধ্যাত্মিক ভাবনায় ঘেরা, সংযত অথচ দৃঢ়।

দুজনের পর্দার রসায়ন এখনই খুব বেশি নজরে না পড়লেও, ধীরে ধীরে জমছে বলেই মত দর্শকের। তবে ধারাবাহিক শুরু হওয়ার আগে পল্লবী যে কথা বলেছিলেন যে, এই গল্পে কোনও ভিলেন নেই! সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথম পর্বে বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও, দ্বিতীয় পর্বেই ইঙ্গিত মিলেছে এক নতুন সমীকরণের। সেখানে দর্শকের নজর কেড়েছেন অহনা দত্ত (Ahona Dutta) অভিনীত ‘কুন্তলিনী’ চরিত্রটি। ঘটনাচক্রে সে রূপমঞ্জরির বোন আর সেই সম্পর্কের আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে এক গভীর অস্বস্তি!

কুন্তলিনীর চোখে গোরার প্রতি আলাদা টান ধরা পড়তেই গল্প অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। নিজের দিদির সংসার সুখের দেখতে না-পারার যন্ত্রণা আর সেই সঙ্গে গোরার প্রতি একতরফা ভালোবাসা মিলেই চরিত্রটিকে ধীরে ধীরে নেতিবাচক দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এক দৃশ্যে তাঁর মনের কথা শুনে দর্শকও আঁচ করতে পারছেন যে আগামী দিনে রূপমঞ্জরির জীবনে ঝড় আসতে চলেছে! আর সেই সব ঝড়ের নেপথ্যে কুন্তলিনী চরিত্রের ভূমিকা কম হবে না।

ফলে ‘ভিলেন নেই’, এই ধারণা বেশিদিন টিকছে না বলেই মনে করছেন অনেকে। সব মিলিয়ে, ধারাবাহিকটি শুরুর দিকেই যে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে, তা বলাই যায়। গল্পে ভক্তি আছে, প্রেম আছে আবার সেই সঙ্গে আছে নীরব ঈর্ষা আর চাপা ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা! নতুন জুটি, ভাবনা আর অপ্রত্যাশিত চরিত্রের বাঁক মিলিয়ে ধারাবাহিকটি ভালোই সাড়া পাচ্ছে। এখন দেখার, আগামীতে এই রহস্য আর সম্পর্কের জট কতটা গভীর হয় আর দর্শককে কতটা ধরে রাখতে পারে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page