কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner)। শুরু থেকেই শিমুলের কাহিনী মন জয় করে নিয়েছে ধারাবাহিক প্রেমী বাংলার গৃহিণীদের। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার, স্বামীর পরকীয়া, জায়ের অত্যাচার, দেয়রের অপমান এমনকি হত্যার চেষ্টা সবটা সহ্য করেও শ্বশুরবাড়ির মাটি কামড়ে দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই চালিয়ে গেছে শিমুল। যে কারণে বারবার চর্চায় উঠে এসেছে ধারাবাহিকের চরিত্রগুলো।
তবে বর্তমানে শিমুলের কপালে সুখ উঁকি মারলেও শান্তি হারিয়ে গেছে পুতুলের জীবন থেকে। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তীর্থ। ডাক্তার জানিয়েছেন তীর্থকে সুস্থ করতে লাগবে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। যা শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে শিমুল, পরাগ আর মধুবালা দেবীর। কোন কিছু চিন্তা না করে টাকা উপার্জন করার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েই গণ গাইতে শুরু করে দেয় পুতুল। তীর্থকে বাঁচাতে লোন এবং নিজের গয়না পর্যন্ত বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল।
কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ৫ জুন (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 5 June)
তবে এইসব করেও যে পুরো টাকাটা জোগাড় করা যাবে না সেকথা স্পষ্ট বুঝতে পারেন মধুবালা দেবী। মেয়ের সিঁথির সিঁদুর বাঁচাতে তাই নিজের স্বামীর ভিটে মাটি বন্দক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মায়ের এই সিদ্ধান্তে পরাগ এবং শিমুল রাজি হলেও বাদ সাধে প্রতীক্ষা। মধুবালা দেবীকে সে বলে তিনি কিছুতেই এইভাবে বাড়ি বন্দক দিতে পারেন না। কারণ লোনের টাকা শোধ দিতে না পারলে তাদের মাথার ছাদটাও থাকবে না।
শিমুলের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রতীক্ষাকে উচিত শিক্ষা দিলেন মধুবালা দেবী
যদিও প্রতীক্ষার কথা চিরে ভেজেনি এবার। মধুবালা দেবী উল্টে প্রতীক্ষাকে জানিয়ে দেয় এরকম হলে সে বাপের বাড়ি চলে যেতে পারে তিনি বাধা দেবেন না। শাশুড়ি মায়ের এরকম পরিবর্তন দেখে চমকে যায় প্রতীক্ষা। এরপরই শিমুলের কাছে ক্ষমা চেয়ে মধুবালা দেবী বলেন তিনি একজন মা তাই ছেলেকে জেলে যেতে দেখে তিনি নিজের সামলাতে পারেননি। তবে তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। তিনি চান তার মেয়েটা সুখী হোক।
আরও পড়ুন: নিম ফুলের মধুতে দারুণ পর্ব! এবার জমবে পিকলু-বর্ষার প্রেম! এই জুটিকে ফের একসঙ্গে দেখতে চান আপনারা ?
তখন প্রতীক্ষা মধুবালা দেবীকে বলে বাড়ি বন্দক দিয়ে তীর্থর চিকিৎসা করে যে টাকা বাঁচতে সে যেন তিনি পলাশকে ছড়িয়ে আনার জন্য প্রতীক্ষাকে দেন। কিন্তু প্রতীক্ষার এই কথাও নাকচ করে দেয় মধুবালা দেবী। তিনি জানান পলাশ যেন নিজের কৃতকর্মের শাস্তি পায়। মধুবালা দেবীর সঙ্গে কথা বলে শিমুল দেখা করে সুচরিতাদের সঙ্গে। সুচরিতা, শীর্ষা সবটাই কিছু কিছু করে টাকা তুলে দেয় শিমুলের হাতে। এই চেষ্টা করেও তীর্থকে কি বাঁচাতে পারবে শিমুল, আপনাদের কি মনে হয়?