জি বাংলার পর্দায় দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । শুরুর দিকে অত্যন্ত নিম্নমানের টিআরপি থাকলেও বর্তমানে কিন্তু বেশ দাপটের সঙ্গেই চলছে এই ধারাবাহিকটি (Serial) । দর্শকদের কাছে ধীরে ধীরে ভালো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ইচ্ছে পুতুল। আর সেই কারণেই মিলছে সাফল্য।
মেঘ-ময়ূরী-সৌরনীলের এই ধারাবাহিক কিন্তু জনপ্রিয়তার বিচারে অন্যান্য অনেক ধারাবাহিককেই টেক্কা দিতে পারে। অর্ক গাঙ্গুলীর লেখনীতে এই ধারাবাহিকটির গল্প এখন তরতরিয়ে ছুটছে। দর্শকরা বোর হবেন, একঘেয়েমি আসবে এইরকম কোনও পর্বই আর এই ধারাবাহিকে আসছে না। আর যে কারণে এই ধারাবাহিকটি দেখার প্রতি দর্শকরা বিশেষ রকম ভাবে উত্তেজনা বোধ করছেন।
দীর্ঘ চেষ্টার পরেও মেঘ কোনভাবেই গিনির বিয়ে রূপের সঙ্গে আটকাতে পারেনি। নিজের শ্বশুরবাড়ির সবাইকে, স্বামী নীলকে বোঝানোর পরেও ব্যর্থ হয়েছে সে। গিনি তার ভালো না চাইলেও গিনির ভালো চেয়েছিল মেঘ আর সেই জন্যই তো মেয়েবাজ রূপের হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছিল নিজের ননদকে। কিন্তু পারেনি।
মেঘের চক্রান্তকারী আপন দিদি ময়ূরীর চক্রান্তের শিকার হয়ে রূপের সঙ্গে নাম জড়িয়ে বরং শ্বশুরবাড়ির সবার সামনে অপদস্থ হতে হয়েছিল মেঘেকে। নিজের স্ত্রীকে চূড়ান্ত অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল নীল। আসলে মেঘের প্রতি তার ভালোবাসা এতোটাই ঠুনকো যে একটু আঘাত লাগলেই টাল খেয়ে যায়। না আত্মসম্মানে বলীয়ান মেঘ ছেড়ে দিয়েছে নিজের স্বামীর ঘর। ফিরে এসেছে নিজের বাবার কাছে।
মেঘ এখন নিজের পড়াশুনা এবং গান নিয়ে ব্যস্ত। মেঘের জীবনে এসেছে তার নতুন বন্ধু গায়ক জিষ্ণু। দুজনের পেশার খাতিরেই খুব ভালো বন্ধুত্ব। গিনির বিয়েতে মেঘকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন নীলের ঠাম্মি। আসলে বিয়ে পরবর্তী শ্বশুরবাড়িতে মেঘের একমাত্র আপন ছিলেন ঠাম্মি। আর তাই ঠাম্মির অনুরোধে ফেলতে না পেরে এই গিনির বিয়েতে যায় মেঘ। সেখানে সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে জিষ্ণুর জন্য অপেক্ষা করছিল।
আর তখনই তাকে হিরহির করে টানতে টানতে অনুষ্ঠান বাড়ির ভেতরে নিয়ে গিয়ে সবার সামনে চূড়ান্ত অপমান, অপদস্থ করে নীল। তার রাগের উপরে কোনও নিয়ন্ত্রণই ছিলনা। যে মেঘকে সে তার নিজের জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছে তার উপরে নীলের চূড়ান্ত অধিকার বোধ দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিল উপস্থিত সবাই।
এই ঘটনার পর, তার রেস থেকে গেছে দুপক্ষের মনে। বিশেষ করে কাণ্ডজ্ঞান শূন্য হয়ে সবার সামনে মেঘকে অপমান করার জন্য মনে মনে পস্তাচ্ছে নীল। এমন কি নীলের কাকাও নীলকে তার এই কাণ্ডজ্ঞান শূন্য আচরণের জন্য কথা শোনাতে ছাড়েননি। মনে মনে মেঘের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে নীল। এবার কি ময়ূরীর মায়াজাল কাটিয়ে মেঘের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে পারবে নীল?