জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। শুরুর থেকেও দুষ্টু মিষ্টি ফুলকির কেরামতি পর্দায় বেশ উপভোগ করেছেন দর্শকরা। বেশ কয়েকবার টিআরপি তালিকাতেও শীর্ষস্থান অধিকার করছে ধারাবাহিকটি। রোহিতের সঙ্গে ফুলকির রসায়ন, শালিনীর একের পর এক কারসাজি, রোহিত আর ফুলকিকে চিরতরে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রুদ্রর একের পর এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দর্শকদের।
তবে শত জনপ্রিয়তার মাঝেও বারবার চর্চায় উঠে এসেছে ধারাবাহিকটি। শিকার হয়েছে নেটিজেনদের ট্রোলের। এর আগে রোহিত আর ফুলকির ঘনিষ্ট নাচ দেখে ভীষণ বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন নেটিজেনরা। ধারাবাহিকটি শালীনতা হারিয়েছে বলে ট্রোলও করেছিলেন অনেকেই। এছাড়াও ধারাবাহিকের বিভিন্ন দৃশ্যে একসময়কার বেঙ্গল টপার ধারাবাহিক মিঠাইকে কপি করে জনপ্রিয়তা হাসিল করার প্রশ্নও উঠেছিলেন নেটিজেনরা অনেকেই।
দিল্লির দৃশ্য এডিট করতে গিয়ে হাসির খোরাক হল ফুলকি
তবে এসব এখন অতীত। এবার দর্শকদের কাছে আবার হাসিস খোরাক হল ফুলকি। ধারাবাহিকে বর্তমানে চলছে দিল্লির দৃশ্যে। ট্রেনিং এবং বক্সিংয়ে বাংলাকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য ফুলকিকে দিল্লিতে নিয়ে গেলে রোহিত। সঙ্গে গেছে পিয়াল, ধানু, তমাল, লাবু আর শালিনী। আর সেখানে গিয়ে ফুলকির বক্সিংয়ের ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য নানা ফন্দি আটে শালিনী আর রুদ্র। তবে সমস্যা এখানে নয়। দিল্লিতে না গিয়ে এডিট করেই ধারাবাহিকে শুট করা হয়েছে দিল্লির দৃশ্যে। আর ধারাবাহিকের জঘন্য এডিটিং দেখেই হেসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন নেটিজেনরা।
ফুলকির নতুন ক্লিপ দেখে কি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা?
ধারাবাহিকের ভিডিওটি শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। ভিডিও দেখে নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। একজন ব্যক্তি লিখেছেন “আমি ভেবেছিলাম আমি গরীব, কিন্তু প্রোডাকশনের আর্থিক অবস্থা তো আমারই মতো।” দ্বিতীয় ব্যক্তি লিখেছেন “এর থেকে ভালো এডিট আমি করতে পারি। ইনশটে এর থেকে ভালো এডিট হয়। বলছি আপনারা ক্লিপ বানানোর পর দেখেন না? নাকি সোজা অনএয়ার করে দেন?” তৃতীয়জন লিখেছেন “ওটা ইন্ডিয়া গেট বাসন্তী হয়ে গেছে।” চতুর্থ ব্যক্তির মতে “বাজেট কম হলে যেতেন না। মুর্শিদাবাদ ঘুরিয়ে আনতেন এর থেকে ভালো হত। কিপটে প্রোডাকশন।” পঞ্চম ব্যক্তি মন্তব্য করছেন “আমিও কাল স্বপ্নে দিল্লি গিয়েছিলাম। আসলে অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল ঘুরতে যাওয়ার মনে হও এইভাবেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।”
প্রোডাকশনের উদ্দেশ্যে কি উপদেশ দিয়েছেন নেটিজেনরা?
উপদেশ দিয়ে কয়েকজন নেটিজেন লিখেছেন, “যে পারবেন না করবেন না। আর করতে হলে শিখে করুন। কালার কারেকশন, কালার গ্রেডিং, লাইটিং এগুলি কি হয়েছে? দয়া করে নিজেদের হাসির খোরাক বানাবেন না। আপনারা চাইলে অন্য জায়গা থেকে ফুটেজ নিতে পারতেন কিন্তু এইভাবে দেখানোর কোন দরকার ছিল না।” সুতরাং ধারাবাহিকের এডিং নিয়ে দর্শকরা যে বেশ আশাহত সেটা স্পষ্ট। আপনাদের কি মনে হয়েছে ফুলকির নতুন ক্লিপ দেখে?