জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অপমানের দায় না নিতে পারে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিল রোহিত! শেষ মুহূর্তে স্যারকে বাঁচিয়ে নিল ফুলকি

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki new episode)। দর্শকদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা এই ধারাবাহিকের। অনেক বাধা বিঘ্ন পার হয়ে অবশেষে এক হয়েছে ফুলকি-রোহিত। ‌এই প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণের জিনিস লুট হয়েছে, সেই জিনিস রুদ্র গ্রামবাসীদের ফিরিয়ে দিয়েছে। এইসব সমস্যা মিটতেই খবর আসে মোহনাপুরে বানভাসী জল। ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তাই গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে নৌকা নিয়ে রোহিত, ফুলকি ও শালিনী মোহনাপুরের দিকে এগোতে থাকে।

মোহনপুরের দিকে এগোনোর সময় বাঁধের জল ছেড়ে দেয় আর নৌকায় সেই জলে টাল রাখতে না পেরে পড়ে যায় রোহিত-ফুলকি-শালিনী। রোহিত দুজনকে কোনোভাবে ধরে রাখে কিন্তু জলের তোড়ে দুজনকে ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব। ওদিকে ভেসে যাচ্ছিল ফুলকি, তাই শালিনীকে গাছের ডাল শক্ত করে চেপে ধরে রাখতে বলে। ফুলকিকে বাঁচাতে যায়, তারপর ফুলকিকে বাঁচিয়ে রোহিত ফুলকিকে নিয়ে ফিরে এলে খুঁজে পায় না শালিনীকে। অসহায় অবস্থায় তারা বাড়ি চলে আসে। বুঝতে পারে শালিনী হয়তো আর কোনদিনও ফিরবে না।

WhatsApp Image 2024 07 17 at 1.13.34 PM

ধারাবাহিকের (Phulki) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, ফুলকি রোহিতকে নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। রোহিতের অপমান মেনে নিতে পারছে না সে। এদিকে হৈমন্তী বলতে থাকে যে কি আর বিশ্বাস করা যায় না শালিনীর মত মেয়েকে শেষ করে দিয়েছে। এরপর আর কি বাকি থাকতে পারে এই ছেলেটাকে আমি আর ভরসা করতে পারছি না বলতে থাকে। এই ছেলের মুখ দেখানোর কাউকে দরকার নেই। দরজা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকুক। ছেলের বিরুদ্ধে এত কথা শুনে কাবেরী শান্ত হতে বলে, তুমি এবার একটু শান্ত হও। কিন্তু হৈমন্তী বলতে থাকে কিভাবে আমি শান্ত হব। আমার জীবন থেকে সব হারিয়ে গেছে কিভাবে আমি শান্ত হব। রোহিত ও ফুলকিকে সহ্য হচ্ছে না এদের জন্য একের পর এক বিপদ লেগেই রয়েছে।

উল্লেখ্য, রোহিতের বিরুদ্ধে এত কথা শুনে চুপ করে থাকতে পারেনা ফুলকি। হৈমন্তী বলে আমি একটা অমানুষ। ফুলকি বলে বসে যে আমি আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। ফুলকি বলতে থাকে আমি ভাবছিলাম কখন প্রতিবাদটা করব কিন্তু এখন প্রতিবাদ কথার সঠিক সময়, যদি স্যার অমানুষ হয়ে থাকে আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে তিনি অমানুষ। স্যার যে একটা মানুষ সে কথা বারবার ভুলে যাচ্ছে। স্যার কোন অন্যায় করেনি, কোন ভুল করেনি। চোখের সামনে আমি দেখেছি। শালিনী ম্যাডামকে আমরা বারণ করেছিলাম যেতে কিন্তু উনি আমাদের কোন কথা শুনেননি। সেটার জন্য আমরা কিভাবে স্যারকে দোষারোপ করতে পারি।

প্রসঙ্গত, ফুলকি রোহিতের মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় এই কথাগুলো বলার জন্য। কিন্তু রোহিতের মা জানায়, যে এই কথাগুলো আমার বলার দরকার ছিল। তুই বলেছিস ভালো করেছিস ছেলেটা চোখের সামনে ভালো হলো আবার সেই অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছে। এদিকে ফুলকি রোহিতকে ঘুমানোর চেষ্টা করতে বলে রোহিত ঘুমাতে পারছে না প্রচন্ডভাবে ভেঙে পড়েছে। সে ভাবতে থাকে আমি সবাইকে মেরে ফেলছি, আমি বেঁচে থাকলে সবার অসুবিধা। এই ভেবে বাথটবে নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ফুলকি দেখতে পায় বাথটবে রোহিত পড়ে আছে সঠিক সময় এসে না পড়লে রোহিতের আরো বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যেত। ফুলকি কি পারবে তার স্যারের এই বদনামের হাত থেকে রক্ষা করতে। জানতে দেখতে হবে ফুলকি ধারাবাহিকটি (Phulki)

TollyTales NewsDesk

                 

You cannot copy content of this page