Bangla SerialEntertainment

“পুতুল আমি মনে হয় আর বাঁচবো না, ছটফট করতে করতে মারা গেল তীর্থ!” কার কাছে কই মনের কথায় আজকের চমক

Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরু থেকেই মেয়েদের গল্প নিয়ে তৈরি অর্গানিক স্টুডিওর এই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। মেয়েদের জীবনের নানা অধ্যায়, নানা সাংসারিক সমস্যা এবং সংগ্রাম জি বাংলা পর্দায় তুলে ধরেছে এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে। যদিও বারবার চর্চায় আসার শর্তেও এখনও স্লট দখল করতে পারেনি শিমুল।

তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকে এসেছে চমক। শিমুলকে হত্যার চেষ্টার অপরাধে পলাশের বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছে পরাগ। দাদার বয়ান এবং প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে ছোটভাই পলাশকে। যদিও ছোট ছেলেকে এইভাবে জেলে যেতে দেখে ভেঙে পড়েছেন মধুবালা দেবী। প্রতীক্ষার কথায় শুনে এই পুরো বিষয়টির জন্য তিনি দায় করতে থাকেন শিমুলকে। মধুবালা দেবীকে বারবার নিজের ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে পরাগ।

কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ২৩ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today show 23 May)

ব্যানার্জী বাড়িতে ঢোকা মাত্রই শিমুলের ওপর চড়াও হন মধুবালা দেবী। তিনি শিমুলকে জিজ্ঞাসা করেন কেন সে তার ছেলেকে জেলে পাঠাল। তখনই এর প্রতিবাদ করে পরাগ। সে মনে পলাশ শিমুলকে মারার চেষ্টা করেছে তাই সেটাই শান্তি পেয়েছে পলাশ। তখনই পরাগকে ফাঁসানোর জন্য প্রতীক্ষা বলে সবচেয়ে বেশি যদি কেউ সবাইকে ঠকিয়ে থাকে তাহলে সেটা পরাগ। কারনে সকলের থেকে সে নিজের সুস্থ হওয়ার সংবাদটা লুকিয়ে গেছে।

প্রতীক্ষার কথা শুনে তাচ্ছিল্য সুরে পরাগ বলে “ভাগ্যিস আমি সত্যিটা লুকিয়ে গেছিলাম নাহলে তুমি আর পলাশ যে আমার স্ত্রীকে এইভাবে মারার চেষ্টা করছিলে সেটা জানতেই পারতাম না। কথাটা শুনে শিমুল প্রতীক্ষাকে বলে এই বাড়িতে থাকতে গেলে আগে থানায় গিয়ে প্রতীক্ষাকে একটা লিখিত দিতে হবে কারণ প্রতীক্ষাকে সে আর বিশ্বাস করে না। আর যদি সেটা না হয় তাহলে শিমুল এবং পরাগ বেরিয়ে যাবে। সেটা শুনে মধুবালা দেবী বলেন চাইলে শিমুল এক বেরিয়ে যাক। কিন্তু পরাগও জানিয়ে দেয় সে শিমুলকে ছাড়া থাকবে না।

“পুতুল আমি আর বাঁচবো না” বলে দিল তীর্থ

এদিকে দেখা যায় রাত্রি বেলায় বুকে ব্যাথা নিয়ে ছটফট করতে থাকে তীর্থ। পুতুল তীর্থকে বারবার করে বলে শিমুল বা রঞ্জাকে ফোন করে ডাকার কথা কিন্তু পুতুলকে বারণ করে দেয় তীর্থ। তীর্থ মনে মনে ভাবে এবার হয়তো তার যাওয়ার সময় চলে এসেছে। তীর্থ বুঝতে পারে তার বোধহয় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সে পুতুলকে বলে সে হয়তো আর বাঁচবে না। তীর্থর কথা শুনে কান্নাকাটি করতে থাকে পুতুল। এরপর তীর্থর অনুরোধে গান করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে পুতুল। তাহলে কি সত্যিই এবার মারা যাবে তীর্থ, আপনাদের কি মনে হয়?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।