জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

প্রগাঢ় হচ্ছে ভালোবাসা! বাড়ছে টান! শর্মির কথা শুনে অনির্বাণকে আটকাতে অফিসে ফিরল রাই! বদলে যাবে কি সম্পর্কের সমীকরণ?

Mithijhora Today Episode: বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় এবং চর্চিত ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিকে এসেছে নতুন নতুন চমক। বাবার মৃত্যুর পর একেবারেই বদলে গেছে তিন বোনের জীবন। সংসারের দায় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে রাই। অপরদিকে শৌর্য্যর সঙ্গে সংসার শুরু করেছে নীলু। যদিও যে দিদির জন্য শৌর্য্য তার জীবনে এসেছে আজ সেই দিদিকেই নিজের চরম শত্রু মনে করতে শুরু করেছে নীলু। অপরদিকে ছোট বোন স্রোত নিজের উপার্জনের টাকায় চালাচ্ছে নিজের ডাক্তারি পড়ার খরচ।

তবে সম্প্রতি অনির্বাণের ওপর অভিমান করে নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়েছে রাই। নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনির্বাণ তার কাছে ক্ষমা চাইলেও তাতে লাভ হয়নি একেবারেই। কিন্তু রাইয়ের চলে যাওয়া চলে যাওয়া একেবারেই মেনে নিতে পারেনি অনির্বাণ। তাই সে ঠিক করে আর সে কলকাতায় থাকবে না। সব বন্ধ করে সে চলে যাবে মুম্বাই। এদিকে রাইয়ের মুখ থেকে চাকরি যাওয়ার কথা শুনে সেই নিয়ে নীলুকে জিজ্ঞাসা করে শৌর্য্য।

মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২০ মে (Mithijhora Today Episode 20 May)

বাড়িতে এসে শৌর্য্যকে রাইয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে দেখে কিছুটা হকচকিয়ে যায় নীলু। যদিও সে শৌর্য্যকে জানায় রাইয়ের ওপর চুরির অভিযোগে এসেছে। নীলুর মুখ থেকে রাইয়ের বিষয়ে এরকম কথা শুনেই বিরক্ত হয়ে যায় শৌর্য্য। সে নীলুকে বলে রাই কিছুতেই এরকম কাজ করতে পারে না। নিজের দিদির সম্পর্কে এরকম মন্তব্য কিভাবে করছে নীলু? যদিও শৌর্য্য এই কথাগুলোর অর্থ না বুঝতেই নীলুর মনে হতে শুরু করে রাই আবার তার সঙ্গে শৌর্য্যর মধ্যে আসছে। কিন্তু শৌর্য্যর জানিয়ে দেয় নীলু নিজের জন্যই একদিন তাদের সংসার ভাঙবে।

অপরদিকে রান্না করে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নেয় রাই। কিন্তু নন্দিতা বলেন রাইকে বাইরে যেতে হবে না। রাই অনেকবার মাকে ভালোভাবে সবটা বোঝানোর পর খানিকটা বিরক্ত হয়েই চলে যান নন্দিতা। এদিকে কলেজে যাওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে সার্থক। সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সে কিছুতেই বাবার সঙ্গে এক গাড়িতে যাবে না। ছেলের মুখে এরকম কথা শুনে খুব কষ্ট পান সার্থকের বাবা।

শর্মির মুখ থেকে সব কথা শুনে অনির্বাণকে আটকাতে অফিসে ফিরল রাই

এদিকে বাড়ি থেকে বেরোতেই রাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় শর্মির। রাই তাকে জানায় এখন সে খুব ব্যস্ত তাই পড়ে দেখা করবে। রাইয়ের কথা শুনেই ২ নাগাদ দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় শর্মি। এরপর ইন্টারভিউ দিয়ে শর্মির সঙ্গে দেখা করতে চলে আসে রাই। শর্মি তখন রাইকে জানায় তার দাদা অফিস বিক্রি করে মুম্বাই চলে যাচ্ছে। যে কারণে অনেকের চাকরি যাবে। কথা শুনে চমকে যায় রাই। সে ঠিক করে নেয় যে করেই হোক সে অনির্বাণকে আটকাবে। তবে কি আবার অনির্বাণের জীবনে ফিরবে রাই, আপনাদের কি মনে হয়?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।