অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর পর কেটে গেছে প্রায় এগারো মাস। পর্দার জাহ্নবী এখনও তিনি বেঁচে আছেন ভক্তদের সকলের মনে। মিষ্টি, শান্ত, লড়াকু মেয়েটার স্মৃতি এখনও তরতাজা।এখনও নেটমধ্যমে ঘুরে বেড়ায় অভিনেত্রীর নানান ছবি ও ভিডিও। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে থেকে ঐন্দ্রিলাকে দেওয়া হল মরণোত্তর বিশেষ কৃতী সম্মান। ঐন্দ্রিলার বাবা মায়ের হাতেই এই সম্মান তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৪ অগাস্ট আয়োজিত হয়েছিল টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডস। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এই অনুষ্ঠান। মোট ৪১ ক্যাটাগরিতে ৪৬ জনকে সম্মান জানানো হয়। নিয়মিত পুরস্কারের পাশাপাশি ছিল আজীবন স্বীকৃতি এবং মরণোত্তর স্বীকৃতি পুরস্কারও।
ঐন্দ্রিলার বাবা-মা যখন মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছিলেন, দর্শকাসন থেকে তাঁদের ফ্রেমবন্দি করছিলেন ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচী।করুণ দৃষ্টিতে স্টেজের দিকে তাকিয়ে ছিল সে। চোখে স্পষ্ট ফুটে উঠছিল ঐন্দ্রিলাকে হারানোর কষ্ট। তাঁর না থাকার যন্ত্রনা। উল্লেখ্য, এদিন পুরস্কৃত হয়েছিলেন তাঁর প্রেমিক বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরীও। সেরা অনুপ্রেরণামূলক চরিত্রের পুরস্কার পান পর্দার রামপ্রসাদ।
গত বছর ‘অসাধারণ প্রত্যাবর্তন’ পুরস্কার নিতে টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চে হাজির অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এবছর তিনি নেই। অবশ্য নেই বললেও ভুল হবে। তিনি রয়েছেন না ফেরার দেশে। ২৩’শে তাঁকে দেওয়া হল মরণোত্তর কৃতী সম্মান। এই সম্মান গ্রহণ করতেই বরহমপুর থেকে হাজির হয়েছিলেন প্রয়াত নায়িকার মা ও বাবা। মঞ্চে উঠে পুরস্কার নেওয়ার সময়ই কান্নায় ভেঙে পড়েন মা শিখা শর্মা।
প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেন না সব্যসাচী। শুধু জানান, “২৫ টা বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ও চলে গেল। ওর কাজ দিয়েই মানুষ ওকে মনে রেখেছে। এইটাই একজন শিল্পী হিসেবে বিরাট প্রাপ্তি।’