জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ফের অঘটন! হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ল শিমুল! কার কাছে কই মনের কথায় বড় চমক

Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। শিমুলের জীবনের কঠিন লড়াই, শাশুড়ি, স্বামী, দেয়র জা সকলের অত্যাচার, বচসা সহ্য করে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার লড়াইয়ের সাক্ষী ছিল ধারাবাহিকের অনুরাগীরা। যদিও এখনও স্লট দখল করতে পারেনি ধারাবাহিকটি। তবে দিনে দিনে ধারাবাহিকের কাহিনীতে এসেছে পরিবর্তন। শুধরে গেছে পরাগ। যদিও এখনও পরিবর্তন আসেনি প্রতীক্ষা, পলাশ আর মধুবালা দেবীর মধ্যে।

তবে বর্তমানে ধারাবাহিকের কাহিনীতে এসেছে নতুন মোড়। শিমুলের দিক থেকে সরে গিয়ে বর্তমানে ধারাবাহিকের মূল ফোকাস পুতুল। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তীর্থ। আর স্বামীকে বাঁচাতেই সাধ্য অনুযায়ী সমস্ত রকমের চেষ্টা করতে শুরু করে পুতুল। তীর্থর এনজিওর লোকেদের সঙ্গে কথা বলে পুতুলকে গান গাইতে দেয় শিমুল আর পরাগ। সেখানে গান গেয়ে টাকা রোজগার করে পুতুল।

কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ৩ জুন (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode)

সেখান থেকে বাড়িতে ফিরতেন হাসপাতালে থেকে ফোন করে শিমুলকে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যায় শিমুল, পরাগ আর পুতুল। ডাক্তার জানান তীর্থকে অন্যত্র নিয়ে যেতে হবে। তীর্থকে চিকিৎসার জন্য লাগবে অনেক টাকা। কথাটা শুনেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে গান গাইতে শুরু করে পুতুল। পুতুলের কথা শুনে অনেকেই টাকা দিয়ে যায় পুতুলকে। দিদির এরকম পরিস্থিতি দেখে ভেঙে পড়ে পরাগ। কিন্তু পুতুল আর পরাগকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় শিমুল।

বাড়িতে ফিরতেই পরেরদিন মধুবালা দেবীকে শিমুল জানায় তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্যত্র। ছেলের চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মধুবালা দেবী। নিজের গয়না নিয়ে এসে তিনি পুতুলকে বলেন তীর্থকে সুস্থ করতে কিন্তু নিজের মা বুড়ির টাকা নেয়নি পুতুল। সে জানিয়ে দেয় সে নিজেই তার স্যারকে সুস্থ করবে। তখনই শিমুল জানায় তাদের লোন অনুমোদিত করা হয়েছে। সেটা শুনেই খুশি হয়ে যায় পরাগ।

হাসপাতালে ডাক্তারের কথা শুনে ভেঙে পড়ল শিমুল

তবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া আগেই হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তীর্থর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুতুলকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চলে যায় শিমুল, পরাগ আর মধুবালা দেবী। ডাক্তার জানান তীর্থর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তীর্থকে সুস্থ করতে লাগবে প্রায় ২০ লাখ টাকা। যেটা শুনেই ভেঙে পড়েন পুতুল, শিমুল, পরাগ আর মধুবালা দেবী। যদিও নিজেকে সামলে নিয়ে শিমুল জানায় এইভাবে হার মেনে সে বসে থাকবে না কিছু একটা করতেন হবে। তীর্থকে কি অবশেষে বাঁচাতে পারবে শিমুল আর পুতুল, আপনাদের কি মনে হয়?

Piya Chanda