Entertainment

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: আশীর্বাদের গয়না বিক্রি করে বন্ধুর সঙ্গে ফুর্তি করবে শিমুল! অকথ্য ভাষায় অপমান! প্রোমোতে শিমুলের দুর্দান্ত জবাব

শাশুড়ির ইচ্ছা রাখতে শিমুল (Shimul) নিল এক নয়া সিদ্ধান্ত। আর তাতেই শিমুলকে পরাগের (Porag) নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হল। শাশুড়ির কাছে বারবার অপমানিত হওয়ার পরও শিমুল একজন বৌমা নয়, মেয়ের দায়িত্ব পালন করল। সম্প্রতি শিমুল বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিল সমুদ্র সৈকতে। যদিও সেই যাওয়া নিয়ে পরাগ ও পলাশ অনেক অপমান করেছিল শিমুলকে। কিন্তু শিমুল তারপরও নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিল।

শিমুল সেখান থেকে ফেরার পর শাশুড়ি তার ছেলেদের কাছে আবদার করল বন্ধুদের সাথে কাশি যাওয়ার। সারা জীবনে শাশুড়ি কোথাও যেতে পারেনি। আজ দুই ছেলে বড় হতে তাদের কাছে কাশি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করল শিমুলের শাশুড়ি। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশত যে ছেলেদের চোখের মনি করে রাখে, তারা দুজনেই এই দায়িত্ব থেকে সরে গেল। বরঞ্চ যে বৌমাকে অনবরত খারাপ খারাপ কথা শোনায় সেই বৌমাই শাশুড়ির যাওয়ার বন্দোবস্ত করল।

বড় ছেলে মায়ের কাশি যাওয়ার কথা শুনে স্পষ্ট জানায়, এতো টাকা সে এখন দিতে পারবে না। অন্যদিকে ছোট ছেলের সামনে বিয়ে, তাই বিয়ের খরচের জন্য সেও মায়ের কাশি যাওয়ার টাকা দিতে অক্ষম। শিমুলের কাছে অতো টাকা নেই, যে সে শাশুড়িকে দিতে পারবে। তবে বড় মুখ করে শাশুড়িকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলে। আর শাশুড়ির যাওয়ার জন্য টাকা জোগাড় করতে এক সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল।

শিমুল তার বন্ধু বিপাশার সাথে একটি সোনার দোকানে যায়। সেখানে নিজের আশীর্বাদী চুরি জমা রেখে ৩০ হাজার টাকা জোগাড় করে। সেই টাকা সে খুব তাড়াতাড়ি ফেরত দিয়ে চুরি দুটো নিয়ে নেবে, এমন কথাও শিমুল জানায়। কিন্তু শিমুল সেই সিদ্ধান্তের কথা বাড়ির কাউকে জানায় না। সম্প্রতি সামনে এল ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar kache koi moner kotha) একটি প্রোমো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সেই সোনার বালা না দেখতে পেয়ে শাশুড়ি ও স্বামী শিমুলের উপর চড়াও হয়।

শিমুলের স্বামী পরাগ বলে, সেই চুরি বেচে হয়তো শিমুল বন্ধুদের সঙ্গে ফুর্তি করার প্ল্যান করেছে। শাশুড়িও খুব কড়া স্বরে শিমুলকে ধমক দেয় ও প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। তবে শিমুল চুপ থাকে। সে বলে সঠিক সময় সব জানতে পারবেন। শাশুড়ির ভালো করতে গিয়ে শিমুল কি নতুন কোনও বিপদে পড়বে? নাকি শাশুড়ির প্রতি এমন ভালোবাসা শাশুড়ির মনে জায়গা করে দেবে শিমুলের? আসছে ধামাকাদার পর্ব।

Titli Bhattacharya