জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

তিনি পরিচিত হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী নামে, কিন্তু কী ছিল তার আসল নাম? কেন নাম পরিবর্তন করেছিলেন ডিস্কো কিং?

বাপ্পি লাহিড়ী ( Bappi Lahiri ), যার কণ্ঠে মুগ্ধ হয়েছিল এক প্রজন্ম, আজও সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে জাগরূক। ‘ডিস্কো ডান্সার’ -এর তারকা, যিনি মঞ্চে তার অনন্য শৈলী এবং সুরে সবাইকে মাতিয়ে রেখেছিলেন, আজও তাঁর গানের প্রভাব থেকে গেছে। গত দুই বছর ধরে তিনি আমাদের মধ্যে নেই, তবে তাঁর গান এবং বাদ্যযন্ত্রের সুর আজও মানুষের মাঝে জীবিত। তাঁর বাদ্যযন্ত্রের এক্সপেরিমেন্ট, কণ্ঠের বিশেষত্ব, আর সেই ৮০-র দশকের হিট গানগুলি এখনও মানুষের মনে স্পষ্ট।

সংগীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর জীবন কাহিনী

বাপ্পি লাহিড়ীর আসল নাম ছিল অলোকেশ লাহিড়ী, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বাপ্পি লাহিড়ী নামে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর নামের সঙ্গে এক বিশেষ সুরের সম্পর্ক ছিল, যা তিনি তার অসাধারণ সংগীতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ৭০-৮০ দশকে এমন কিছু গান সৃষ্টি করেছিলেন, যেগুলির জন্য আজও তাঁর কথা মনে করা হয়। ‘ডিস্কো কিং’ হিসাবে পরিচিত বাপ্পির কণ্ঠ এমনই এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি যা আজও আমাদের মধ্যে জীবিত।

bappi lahiri

বাপ্পি লাহিড়ী কিশোর কুমারের ভাগ্নে ছিলেন। যদিও তাদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক ছিল না, তবে কিশোর কুমারের মা বাপ্পি লাহিড়িকে নিজের মেয়ে মনে করতেন। এভাবে তাঁরা একে অপরকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। বাপ্পি লাহিড়ী প্রায়ই তাঁর শৈশবের সেই মধুর স্মৃতি শেয়ার করতেন, বিশেষত কিশোর কুমারের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো।

ছোট পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি বাপ্পি লাহিড়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকও দেখিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে কিশোর কুমারের পরিচালনায় ‘বাধতি কা নাম দধি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে তিনি সঙ্গীতের দুনিয়ায় পুরোপুরি মনোযোগ দেন, কিন্তু তাঁর অভিনয়ও ছিল প্রশংসিত। তাঁর সংগীতযাত্রা ছাড়া, বাপ্পি লাহিড়ী এক সময় ‘ডক্টর ড্রে’র বিরুদ্ধে একটি কপিরাইট মামলাও করেছিলেন।

বাপ্পি লাহিড়ী রাজনৈতিক অঙ্গনেও যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হয়ে তিনি শ্রীরামপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি পরাজিত হন। তবে তিনি কখনও হার মানেননি, বরং তাঁর মিউজিক এবং ব্যক্তিত্ব দিয়ে দেশের মানুষদের কাছে নিজের স্থান তৈরি করেছিলেন।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

                 

You cannot copy content of this page