বিয়ের তৃতীয় জন্মদিনে সৌরভ দাস ও দর্শনা বণিকের দিনটা শুরু হয়েছে একেবারে নিজেদের মতো করে। সকাল থেকে ছিল দুজনের নিরিবিলি সময়। দুপুরে পছন্দের চিনে খাবার আর রাতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার পরিকল্পনা। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তাঁরা জানালেন এই বিশেষ দিনের ছোট ছোট আনন্দই তাঁদের কাছে সবচেয়ে দামি। এই প্রজন্ম যেখানে এক বছর পেরোতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সেখানে সৌরভ ও দর্শনা আত্মবিশ্বাসী এবং স্থির। বিয়ের পথে যাঁরা হাঁটতে চলেছেন তাঁদের জন্য তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকেই উঠে এল কিছু স্পষ্ট কথা।
দুজনেই একই পেশার মানুষ হওয়ায় সম্পর্কের ভিতটা আরও মজবুত হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। সৌরভ ও দর্শনার মতে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূল চাবিকাঠি হল স্বাধীনতা আর বিশ্বাস। দর্শনা নিজের পোশাক থেকে চরিত্র নির্বাচন সবটাই নিজে ঠিক করেন এবং সৌরভ তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন। সৌরভও একই স্বাধীনতা পান দর্শনার কাছ থেকে। তাঁর কথায় বহু পরিশ্রম করে যেখানে পৌঁছেছেন সেখানে এই সম্মান আর আস্থাই তাঁকে শক্তি দেয়। পরিবারের ইচ্ছা অনিচ্ছাকেও গুরুত্ব দিয়েই তাঁরা নিজেদের পছন্দকে প্রাধান্য দেন।
একই পেশার হওয়ায় অনেক বাস্তব সমস্যাও সহজ হয়ে যায় বলে মনে করেন দর্শনা। কাজের চাপের জন্য সব পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু দুজনেই সেই বাস্তবতা বোঝেন। তাই এক জন না যেতে পারলে অন্য জনের মন খারাপ হয় না। দর্শনার কথায় একই পেশা তাঁদের অনেক অপ্রয়োজনীয় অভিমান থেকে বাঁচিয়েছে। হাসিমুখে তিনি স্বীকার করেন কাজের জগৎ তাঁদের সম্পর্ককে আরও পরিণত করেছে।
তবে বিয়ে ভাঙার পেছনে এক পেশাকে নয় বরং সমাজমাধ্যমকেই দায়ী করছেন এই তারকা দম্পতি। সৌরভের মতে এখন সবার হাতে মুঠোফোন আর সমাজমাধ্যমে মন্তব্য করার অবাধ সুযোগ। সেই সব মন্তব্য সব সময় সুখকর হয় না। তাই তিনি দর্শনাকে নিয়মিত মন্তব্য না পড়ার পরামর্শ দেন। এতে মানসিক শান্তি বজায় থাকে এবং অকারণ চাপ কমে।
আরও পড়ুনঃ “মনে হচ্ছিল, আগামী দশ মিনিটের মধ্যে ম’রে যাব” হঠাৎ ভয়ংকর মুহূর্তের সাক্ষী অভিষেক বীর শর্মা! কী এমন ঘটেছিল যে জীবন-মৃ’ত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা?
এই ভাবনাতেই সায় দিয়েছেন দর্শনাও। অভিনেত্রীর স্পষ্ট মত সমাজমাধ্যমে মন্তব্যবাক্স না থাকলে অনেক সংসারই টিকে যেত। তাঁর মতে বাইরের অচেনা মতামত সম্পর্কের ভিত নড়িয়ে দেয়। নিজেদের বোঝাপড়া আর পারস্পরিক সম্মানই যে সুখী দাম্পত্যের আসল চাবিকাঠি বিয়ের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে আবারও সেটাই মনে করিয়ে দিলেন সৌরভ ও দর্শনা।
