Bangla SerialEntertainment

শেষ হয়েছে মনের কথা! মন খারাপ পুতুলের! স্মৃতিচারণ করে সমাজমাধ্যমে আবেগাপ্লুত শ্রীতমা ভট্টাচার্য, আপনারা মিস করবেন?

শেষ হয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) শুটিং। একসময়ে জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হয়ে ছিল এই মেগা। মনের কথা ফুরিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য (Sritama Bhattacharjee)। অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যের পোস্ট নিমেষে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। দর্শকদের মন খারাপ। আর ছোটপর্দায় খুব বেশিদিন দেখা যাবে না শিমুল-পরাগের গল্প। এক টানা অনেকদিন সম্প্রচার ও টিআরপি (Trp) টপার হওয়ার পর দর্শকদের বাড়ির সদস্য হয়ে উঠেছিলেন শিমুল ওরফে মানালি দে।

এবার দর্শকদের ড্রয়িংরুম থেকে বিদায় নিতে চলেছে ঘরের মেয়ে। শ্রীতমার পোস্টে মন খারাপের কথা জানিয়েছেন দর্শকরা। একজন দর্শক লিখেছেন, ‘দিদি তোমার চরিত্রটা খুব মিস করব।’ উল্লেখ্য, ধারাবাহিকে শ্রীতমার নাম ছিল পুতুল। পরাগের একমাত্র বোন পুতুল, মানসিক প্রতিবন্ধী।

ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুলের জীবনে এসেছে নানা ওঠাপড়া। সবসময় শিমুলকে সঙ্গ দেয়নি কাছের মানুষ। কখনও হাত ছেড়েছে স্বামী পরাগ, কখনও শাশুড়ি মধুবালা। জীবনের সবক্ষেত্রে বান্ধবীদেরও পাশে পায়নি সে। কিন্তু বরাবর যে শিমুলের উপর ভরসা করেছিল সে ছিল পুতুল। বাংলা ধারাবাহিকে এমন বৌদিদি ও ননদ সম্পর্ক নজিরবিহীন।

আরো পড়ুন: কলিগ সুলভ দূরত্ব ঘুচিয়ে কাছাকাছি মধুবনি-ঋক! ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’র নয়া প্রোমোতে দারুণ চমক

শিমুলও কোনওদিন সঙ্গ ছাড়েনি পুতুলের। প্রথম থেকেই নিজের বোনের মতো পুতুলকে আগলে রেখেছে সে। তাকে ভাল করে লেখাপড়া শেখানো, সুপাত্র তীর্থর হাতে পুতুলকে তুলে দিয়ে নিজের ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছে শিমুলও।

শেষ হল ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’র শুটিং। সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যের আবেগাপ্লুত পোস্ট

অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য সমাজমাধ্যমে লিখেছেন,’কার কাছে কই মনের কথা ও পুতুল চরিত্র দুটোই আমার জীবনের একটি বড়ো অংশ হয়ে থেকে যাবে। এই চরিত্রটির সাথে অনেক অনেক কিছু জড়িয়ে আছে। আমি ধন্যবাদ জানাবো জি বাংলা, কার কাছে কই মনের কথা, লীনাদি কে, অর্কদা, কে দেবলীনাদি, কে আমার সহ অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের এবং আমার পুরো ক্রু টিমকে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই আমার সকল দর্শকদের আমায় অফুরন্ত ভালোবাসা দেওবার জন্য। মনের কাছের হয়ে থেকে যাবে ‘কার কাছে কই মনের কথা’।’

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।