Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। বিয়ের পর একেবারেই বদলে যায় মেয়েদের জীবন। একটা জানা বাড়ি, কিছু অচেনা মানুষ সবটাই মানিয়ে গুছিয়ে নিয়ে শুরু হয় মেয়েটির সংসার। তার ইচ্ছা, শখ আল্লাহ সবটাই কোথাও গিয়ে সংসারের দায় দায়িত্বের চাপে মলিন হয়ে যায়। একজন মানুষও থাকেনা যারা তার মনের কথা শুনবে। মেয়েদের মনে কথা নিয়েই শুরু হয়েছিল জি বাংলার ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা।
যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারাবাহিকের কাহিনীতে এসেছে একাধিক মোড়। ভেঙে গেছে বিপাশার সাজানো সংসার। এদিকে শিমুলের জীবনে ফিরে এসেছে প্রতীক্ষা। জেল থেকে ফিরেই শিমুলের নানাভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে প্রতীক্ষা। তবে এবার দমে যায়নি শিমুলও। রুখে দাঁড়িয়েছে প্রতীক্ষার বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে গিয়ে পলাশ আর প্রতীক্ষার নামে অভিযোগ করছে শিমুল। সেই নিয়েই চলছে তদন্ত। আতঙ্কিত হয়ে অবশেষে মধুবালা দেবীর কান ভাঙ্গানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পলাশ আর প্রতীক্ষা।
কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ১০ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 10 May)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে জুস নিয়ে পরাগের ঘরে চলে এসেছে প্রতীক্ষা আর পলাশ। আর এসেই প্রায় জোর করেই পরাগকে জুস খাওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করে প্রতীক্ষা। যদিও ধাক্কা মারে জুসের গ্লাসটা ফেলে দেয় পরাগ। এরপরই শুরু হয়ে যায় প্রতীক্ষার ড্রামা। বেচারির মতো পরাগকে সে জিজ্ঞাসা করে কেন সে তার হাতের খাওয়ার খাচ্ছে না। কেন তার সঙ্গে এখনও এরকম ব্যবহার করছে পরাগ? পলাশ তখন পরাগকে বলে যদি জুস খেতে না চাইলে প্রতীক্ষা আর জন্য চাউমিন বানিয়ে আনছে।
সুচরিতার জীবনে নতুন বসন্ত হয়ে এল সঞ্জীব
তখনই পরাগ বলে আগে সে শিমুলকে জিজ্ঞাসা করবে তারপর। শিমুলের নাম শুনেই সেখান থেকে তড়িঘড়ি পালিয়ে যায় পলাশ আর প্রতীক্ষা। ওদিকে সুচরিতা, বিপাশা আর শীর্ষার সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে শিমুল। বিপাশা সবাইকে জানায় সে একটা চাকরির জন্য আবেদন করেছে খুব সম্ভবত সে চাকরিটা পেয়ে যাবে। তখনই সুচরিতা বলে ইন্দ্রর বন্ধু সঞ্জীব সুচরিতাকে আগে থেকে পছন্দ করত। সুচরিতা বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তিনি বিদেশে গিয়ে বিয়ে করেন কিন্তু সঞ্জীবকে ছেড়ে চলে যায় তার স্ত্রী। এখন সে আবার ফিরে এসেছে কলকাতায়।
আরও পড়ুনঃ খুন হল মুখার্জি বাড়ির ছেলে! তবে কী উৎসব? জগদ্ধাত্রীতে আসছে বিরাট ধামাকা, মিস করবেন না
নানাভাবে সে সাহায্য করছে সুচরিতাকে। নতুন করে নিজেদের জীবন শুরু করার পরিকল্পনা করছে তারা। কথাটা শুনেই খুব খুশি হয় সকলে। সেখান থেকে ফিরেই পরাগের সঙ্গে কথা বলতে থাকে শিমুল। সে জানায় পুলিশ জানিয়েছে তার কেসটা এবার কোর্টে উঠবে। সেটা শুনে খানিকটা নিশ্চিন্ত হয় পরাগ। পরাগকে এও জানায় যে বাড়ির কোন খাওয়ার না খেতে। পরাগের চিন্তা দেখে খুশি হয় শিমুল। যদিও এখন সকলেই মাথায় চলছে একটাই প্রশ্ন এবার কি প্রতীক্ষা সহ জেলে যাবে পলাশ? সেই দৃশ্যে দেখার জন্যই বর্তমানে দিন গুনছে ধারাবাহিকের ভক্তরা।