সারেগামাপা (Sa Re Ga Ma Pa), জি বাংলার জনপ্রিয় এই গানেরিয়ালিটি শো সবে মাত্র কিছুদিন হলো শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই, দর্শকেরা জেনে গিয়েছে কে বা কারা হয়েছে বিজেতা। বেশ কয়েক বছর বাদে এই বছর বাংলার শ্রোতাদের যুগ্ম বিজয়ী উপহার দিয়েছে ‘সারেগামাপা’।
রিয়ালিটি শো এর ফাইনালের দিন যত এগোচ্ছিল ততই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজন এবং আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছিল যে কে হতে চলেছে সেরার সেরা। কিন্তু সবটা সামনে আসতেই সমালোচকদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই সিজনে সব বয়সের প্রতিযোগীরাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন।

তাই অন্য বাড়ি থেকে এইবারে একটু আলাদাভাবেই বিজেতাদের বেছে নেওয়া হয়েছে। বলাই বাহুল্য, বড়দের মধ্যে প্রথম দেয়াশিনী, দ্বিতীয় ময়ূরী এবং সাঁই। তৃতীয় হয়েছেন সত্যজিৎ। অন্যদিকে ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়েছে অতনু, দ্বিতীয় ঐশী এবং তৃতীয় হয়েছে অনিক।
তবে, ফাইনালের প্রতিযোগীদের মধ্যে এই বিচারও অনেক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সব থেকে নজর করার বিষয় আরাত্রিকা পেয়েছে বিশেষ ‘কালিকাপ্রসাদ অ্যাওয়ার্ড’ যা অনেক দর্শকদের মতে এই প্রতিযোগীর সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। গোটা সিজন জুড়ে আরাত্রিকার গান ছুঁয়ে গেছে দর্শকদের মন। তাই ক্ষুব্ধ অনেক দর্শকই।
আরও পড়ুনঃ দাদাগিরির পর এবার বড় পর্দায়! পুলিশ অফিসারের চরিত্রে ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
তাই, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক দর্শকেরাই নিজেদের মতন করে মন্তব্য জানিয়েছেন। একজন বলেছেন, ‘আরাত্রিকার প্রথম তিনজনের মধ্যে না থাকাটা আশ্চর্য। ওর পারফর্মেন্স অনেক বেশি মনগ্রাহী’। আবার অন্যজন লিখেছেন, ‘প্রথম থেকে সবকটা এপিসোড দেখেছি। আমার সমর্থন ছিল আরাত্রিকার দিকে। ও বাংলা গান বেশি গায়ে বলে হয়তো এমনটা হল’।
দর্শকদের আরাত্রিকার প্রতি এত ভালোবাসা দেখে প্রতিযোগী নিজেই দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফাইনালের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, “না কোনো অভিযোগ নেই, শুধু আছে এই কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা আর অফুরন্ত গান। এই জার্নিটা আমার কাছে কতটা মূল্যবান তা শব্দে প্রকাশ করতে পারবো না। এছাড়া, তাঁর গ্ৰুমার বিচারকমন্ডলী এবং সর্বোপরি জি বাংলা কর্তৃপক্ষ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই”।