টলিউডের এক সময়ের রাজপুত্রসদৃশ নায়ক, ঝকঝকে চেহারার সেই সুপুরুষ অভিনেতা ‘জয় বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Joy Banarjee Death) পরলোক গমন করলেন। নয়ের দশকে তাঁর রোমান্টিক ইমেজে পাগল হয়ে যেত অভিনেত্রী থেকে সাধারণ তরুণীরাও। প্রেমে পড়ত আঠেরো থেকে আঠাশ—সব বয়সের মেয়েরাই। শুধু রূপোলি পর্দার নায়ক নয়, বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন মহিলা মহলের স্বপ্নের পুরুষ।
নয়ের দশকের সেই সময়টা ছিল একেবারে অন্যরকম। ‘মিলনতিথি’ ছবির পর থেকে প্রায় রোজই দেশ-বিদেশ থেকে তাঁর কাছে বিয়ের প্রস্তাব আসত। জয় হাসতে হাসতে বলেছিলেন, বাবা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন—কখন যে তাঁর বিয়ে দিতে পারবেন! কানাডার এক অনুরাগী তো বাড়ির চার দেওয়ালে তাঁর ছবি টাঙিয়ে রাখতেন। এমনকী, প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সেই মেয়েটির বাবা সরাসরি জয়ের কাছে এসেছিলেন।
১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে ‘অপরূপা’ ছবি দিয়েই টলিউডে তাঁর যাত্রা শুরু। পরে নবেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘চপার’-এ অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকের প্রশংসা কুড়ান। তবে আসল সাফল্য আসে অঞ্জন চৌধুরীর হীরক জয়ন্তী ছবিতে। সেখানেই চুমকি চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর জুটি দর্শকদের মনে দাগ কেটে যায়। টলিপাড়ায় তাঁদের প্রেম নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ মেয়ে ‘মীরা’কে কোলে পেয়ে খুশি মা-বাবা! মাতৃত্বের পরেও সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতির অপেক্ষা, বিয়ে নিয়ে কী বললেন অহনা-দীপঙ্কর? বিয়ের দিনক্ষণ কি ঠিক করে ফেলেছেন?
বেশ কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জয় নিজেই মজা করে বলেছিলেন, “নারী লগ্নে জন্ম আমার, সব মেয়ের বালিশের নিচে আমার ছবি থাকত।” জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন এক যুগের রোমান্টিক নায়ক। পর্দার ভেতরে-বাইরে সবখানেই তিনি ছিলেন মহিলাদের কাছে অপ্রতিরোধ্য এক আকর্ষণ।