‘মমতা শঙ্কর'(Mamata Shankar)নামটা শুনলেই প্রথমে মাথায় আসে একটা স্টেজ, রং বেরংয়ের আলো আর একটা ছায়া। যেটি নিজের তালে, গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৃত্য পরিবেশন করছে। মমতা শংকর হলেন এমন এক শিল্পী যিনি সর্বগুন সম্পন্না। নাচ, অভিনয়, অফিস, পরিবার একই ছন্দে চালিয়ে এসেছেন তিনি। তাঁর বাবা বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্কর(Uday Shangkar)। বাবার হাত ধরেই নৃত্য জীবনের শুরু তাঁর।
পরবর্তীকালে, ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে বিখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেন পরিচালিত ‘মৃগয়া’ চলচ্চিত্রের হাত ধরে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু। এই চলচ্চিত্রটি বছরের শ্রেষ্ঠ কাহিনি চিত্র হিসেবে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ও লাভ করেছিলেন। গায়ের রং বরাবরই সাদা, কিন্তু ছবিতে যে চরিত্রটি করতে হবে সে খেটে খাওয়া গ্রামের মেয়ে। এমতাবস্থায় তাঁর বাবা ছবি শুরুর ৬ মাস আগে থেকে তাঁকে নুন জল গায়ে মাখিয়ে রোদে বসিয়ে রাখতেন। প্রথম ছবির জন্য রোদে পুড়ে গায়ের রং কালো করতে হয়েছিল তাঁকে।
আরো পড়ুন: একটা সিনেমা করেই অহংকার বেড়েছে সৌমীতৃষার! হাত ছেড়েছেন বন্ধুদের! অন্যদিকে হাতে ৪টে ছবি নিয়েও মাটিতে পা ইধিকার! মুগ্ধ নেটিজেনরা
১৯৭৮ সালে চন্দ্রদয় শংকরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে নিজের স্বামীকে এখনও ‘বাপি দা’ বলে সম্মধন করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বাপি দা যদি তাঁর পিছনে না থাকতেন তাহলে আজ হয়ত তিনি আজকের মমতা শংকর হতেই পারতেন না। তাঁর কথা শুনে বোঝাই একেবারেই দায় নয় যে, ‘বাপি দা’ ছাড়া তাঁর ‘মম’ আজও এক পা’ও চলতে পারে না।
অন্যদিকে, মিঠুন চক্রবর্তী ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি স্বস্তিকার ব্যাপারে একটু হেঁসে তিনি বলেন তাঁর অভিনয়ের ভক্ত মমতা। বাবার বাড়ির পাড়ায় তাঁদের সামনের বাড়ি ছিল শন্তু মুখার্জীদের। সেই সূত্রেই একেবারে ছোট্ট থেকেই চেনেন স্বস্তিকাকে। বহুবার ঘুরতেও গেছেন একসঙ্গে। এছাড়াও বর্তমানে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৪ টে ছবিও করেছেন তিনি। জানিয়েছেন স্বস্তিকা তাঁর থেকে অনেক বেশি দক্ষ অভিনেত্রী।
“মিঠুনের প্রতি আমার ভারী অভিযোগ। মিঠুন একেবারেই ফোন ধরে না।” ‘কাবুলিওয়ালার’ সাকসেসের জন্য তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা বার্তা জানতে চেয়েছিলেন মমতা কিন্তু মিঠুন নিজের ফোন কাছে রাখেনই না বলে তা আজও জানিয়ে ওঠা হয়নি। নিজের অভিনয় সম্পর্কে জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম ছবির সময় অভিনয়ের কিছুই জানতেন না তিনি। মৃণাল সেন তাঁকে রোজ সেটে মিঠুনের অভিনয় দেখতে আসতে বলতেন। আর এই ভাবেই তাঁর অভিনয় শেখা।