বাংলা সিনেমা তার হাত ধরে নবজীবন পেয়েছে এই কথা বলতেই হয়। গল্প ভাবনা, পরিচালনা, অভিনয় সব ক্ষেত্রেই দুরন্ত, দূর্দান্ত তিনি। তার এবং নন্দিতা রায়ের (Nandita Roy) পরিচালনা এবং প্রযোজনায় সব সিনেমাই হিট। বাঙালি দর্শককে হলমুখী করার নিদারুণ ক্ষমতা রয়েছে এই জুটির। সে ইচ্ছে হোক বা প্রাক্তন, বেলাশেষে বা বেলাশুরু, কন্ঠ হোক বা বহুরূপী।
তাদের তৈরি সিনেমা মানুষকে আটকে রাখে। সমাজের গল্প বলে, বাস্তব কাহিনী তুলে ধরে। আর যার ফলে সেই সিনেমা দেখার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করেন দর্শকরা। একইসঙ্গে মুক্তি ঘটে বাংলা সিনেমার। বেঁচে থাকে একটা শিল্প। আর সেই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অজস্র মানুষ। একটা সিনেমা হলে চললে তবেই না টিকবে একটা ইন্ডাস্ট্রি।
বিশেষ করে আঞ্চলিক ভাষায় চলা ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করতে হবে। একে অপরের পাশে থাকতে হবে। কিন্তু আদৌ কী থাকেন সবাই? শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দীপাবলির পোস্ট সেই প্রশ্নই তুলল। আগামী কাল অর্থাৎ পয়লা নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে আনিজ বাজমি পরিচালিত ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ও রোহিত শেঠি পরিচালিত সিনেমা ‘সিংঘম এগেইন’ ৷ জোর কদমে চলছে প্রচার। এই দুই হিন্দী সিনেমার হাত ধরে বিরাট রোজগারের আশা করছেন হল মালিকরা। আর যে কারণে বাংলাতেই কোনঠাসা বহুরূপী, টেক্কার মতো বাংলা সিনেমাগুলি।
পুজোয় মুক্তি পাওয়া এই বাংলা সিনেমাগুলো সরানো হচ্ছে হল থেকে। আর হল থেকে ছবি সরতেই কটাক্ষ করলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপাবলির শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি লেখেন, ‘বাংলার হল মালিক এবং প্লেক্স কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষ বার্তা ৷ আগামী সপ্তাহ কেটে গেলে আপনাদের যদি আবারও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, বাংলা সিনেমাকে পাশে পাবেন ৷ যেমনভাবে দুর্গাপুজো এবং তার পরবর্তী সময় পেয়েছিলেন ৷ তবে আশা করব এরকম প্রয়োজন পড়বে না ৷ ভালো থাকবেন ৷ শুভ দীপাবলির অনেক শুভেচ্ছা ৷’
আরও পড়ুন: কাউন্ট ডাউন শুরু! শীঘ্রই বিয়ের পিড়িতে রাহুল-দেবাদৃতা! কিসের ইঙ্গিত দিলেন অভিনেতা?
বলাই বাহুল্য, অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী অভিনীত ‘বহুরূপী’ মুক্তি পেয়েই দর্শকদের মন জয় করে নেয় ৷ ইতিমধ্যেই প্রায় ১১ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে এই ছবি।