ধারাবাহিক। বর্তমানে বাঙালির জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে গেছে এই ধারাবাহিকগুলি। বলা যায় অংশ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনের। তবে আগেকার দিনের মতো এখন কোনও বাংলা ধারাবাহিকই আর দীর্ঘদিন ব্যাপী চলেনা। কারণ টিআরপি। আসলে এখন একটি ধারাবাহিক কত দিন চলবে তা মূলত নির্ণয় করে টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট। আর তাই এখন টেলিভিশনের পর্দায় নতুন নতুন ধারাবাহিকের ভিড়। আর সেই সমস্ত নতুন ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে কখনও আসছেন পুরনো নায়িকারা আবার কখনও নবাগত নায়িকারা।
তবে সব পুরনো নায়িকাই যে ফিরছেন এমনটা নয়। অনেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন অভিনয়ে পেশাকে। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় অভিনেত্রী রুশা চ্যাটার্জী। এই অভিনেত্রী বর্তমানে বিয়ে করে চলে গেছেন আমেরিকায়। আর তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন আরও এক অভিনেত্রী। তবে বিয়ে করে নয়, নিজের পড়াশোনার জগতকে আপন করে নিয়ে অভিনয় জীবনকে বিদায় জানালেন তিনি।
গাঁটছড়া, মিঠাইয়ের মতো টেলিভিশনের পর্দায় আরও একটি ধারাবাহিক দীর্ঘ ১ বছর ৯ মাস ব্যাপী দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছিল। আর জনপ্রিয় সেই ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হতো সান বাংলায়। এই ধারাবাহিকটির নাম ‘কন্যাদান।’ সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশনের পর্দায় চলা অন্যতম দীর্ঘদিনব্যপী ধারাবাহিক ছিল এটি। উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিক ছিল পাঁচ মেয়ের গল্প নিয়ে। এই ধারাবাহিকের প্রেক্ষাপট ছিল পাঁচ মেয়ে ও তাঁর বাবার গল্প। তিথি, নীরা, মন, বীথি আর ঝিনুক এই পাঁচ মেয়েকে একার হাতে বড় করে তুলেছেন এক মাস্টারমশাই বাবা।
এই ধারাবাহিকের গল্প প্রশ্ন তুলেছিল কন্যা দান করে দিলেই কী বাবা-মায়ের সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? এই ধারাবাহিকে নীরার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী পিয়া মালাকার। এই ধারাবাহিকেই প্রথম কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী পিয়া। এই চরিত্রে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। আর কেরিয়ারের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দাঁড়িয়েই একটা বিরাটব ড় সিদ্ধান্ত নিলেন এই অভিনেত্রী। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড ছেড়ে নিজের পড়াশোনার জগতকে আপন করে নিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, জানা গেছে এই অভিনেত্রী অভিনয়ের পাশপাশি পড়াশোনা করেছিলেন আইন নিয়ে। আর এবার আইন নিয়ে ইন্টার্নশিপ শুরু করলেন তিনি। এমনকী সেখানে নিজের প্রথম দিনের কাজের অভিজ্ঞতাও তিনি নিজের সমস্ত ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পিয়া। তাঁর চ্যানেলের নাম পিয়া মালাকার ভ্লগস। তাঁর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও ব্যাতিক্রমী।