জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“শিশুরা হলে অন্যরকম, প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পীর মাকে শুটিংয়ে সঙ্গে রাখা মানা যায় না!” “যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা কি অফিসে মাকে নিয়ে যেতে পারেন?” দিতিপ্রিয়ার শুটিং সেট মায়ের উপস্থিতির অভ্যাসকে আপত্তি জানিয়ে, কড়া সমালোচনা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের!

টলিউড অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy) সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত যে তিনি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তা যেন নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে। দর্শক এবং ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন, একটি এতই সফল ধারাবাহিক ছেড়ে যাওয়ার পেছনে কি শুধু কিছু মতবিরোধ? সামান্য মতবিরোধ থাকার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া কি যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবু দিতিপ্রিয়া নিজেই জানিয়েছেন, এই ধারাবাহিকের শুটিংয়ের চাপ সামলানো তাঁর জন্য সহজ হচ্ছে না।

শুটিংয়ের চাপ সামলানো অবশ্য অভিনেত্রীর কথায়, সবসময়ই একটি কষ্টকর। তাই সেটে মানসিক ভারসাম্য রাখতে তিনি তাঁর মায়ের উপস্থিতিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। তাঁর এতদিনের অভিনয় জীবনে প্রায় সব সময় শুটিং সেটে তার মায়ের উপস্থিতি বজায় থেকেছে। ছোটবেলা থেকে ক্যামেরার সামনে থাকা এই অভিনেত্রী একাধিক সাক্ষাৎকারেও বলছেন যে, মা শুধু পাশে থাকার জন্য নয়, তিনি প্রয়োজনে বোঝান আবার কখনও শুধু উপস্থিত থাকেন যাতে কাজের গতি এবং মানসিক স্থিরতা ঠিক থাকে।

দিতিপ্রিয়ার মতে, মায়ের সমর্থন তাঁকে সেটে কাজ করতে সাহায্য করে। এই অভ্যাসকে নিয়মিত কাজের প্রেক্ষিতে মান্যতা দেওয়া নিয়ে একাধিক মত তো আছেই। অনেকেই মনে করেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পীর শুটিং সেটে মায়ের থাকা শুধুই অভ্যাস বা মানসিক সমর্থন। তবে এটি বিতর্ক তৈরি করেছে, কারণ একাধারে পেশাদারিত্ব ও ব্যক্তিগত সমর্থনের সীমা নির্ধারণ কঠিন। বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে এই প্রশ্ন উঠেছে যে, পেশাগত পরিবেশে একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য অভিভাবক সবসময় সঙ্গে থাকা যুক্তিসঙ্গত?

এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে লেখিকা ও প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় একেবারে স্পষ্ট মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “কর্পোরেট চাকরি বা অন্য পেশার কেউ কি তার মাকে সঙ্গে রাখতে পারে? শিশু শিল্পীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিভাবক থাকা প্রয়োজন আর এটি নিয়মও। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পী হলে সেটি কোনও ভাবেই প্রযোজ্য নয়, বরং শুটিংয়ের সমস্যা হতে পারে।” তার বক্তব্য মূলত স্পষ্ট করেছে যে, পেশাদার পরিবেশে ব্যক্তিগত সমর্থনের সীমা থাকা প্রয়োজন আর সেটি লঙ্ঘন করা যৌক্তিক নয়!

উল্লেখ্য, এই বিতর্ক সত্ত্বেও দিতিপ্রিয়া এবং তার মা কোনও মন্তব্য করেননি। তবে এটা স্পষ্ট যে, ব্যক্তিগত মানসিক সমর্থন ও পেশাদার দায়িত্বের মধ্যে সঠিক সমন্বয় খুঁজে বের করা সহজ নয়। দিতিপ্রিয়ার শুটিং সেটে মায়ের উপস্থিতি শুধু অভ্যাস নয়, বরং তার জন্য মানসিক শক্তির উৎস। যা অনেক সময় পেশাদার সীমার সঙ্গে সংঘর্ষে আসে। এই প্রসঙ্গে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতামত অনেকের কাছে দিকনির্দেশনার মতো মনে হয়েছে। আপনাদের কী মতামত? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page