জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

গুরুতর অসুস্থ, শীঘ্রই করাতে হবে অস্ত্রপ্রচার! অসুস্থ শরীরেই চালাচ্ছেন অভিনয়

টলিউডের অন্যতম অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা (Anamika Saha)। ১৯৭৩ সালে ‘আশার আলো’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন তিনি। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অবদান রেখে চলেছেন। হাস্যরসাত্মক চরিত্র থেকে শুরু করে গুরুতর নেগেটিভ চরিত্রেও অভিনয়ের জন্য তিনি বরাবরই প্রশংসিত হয়েছেন।

বর্তমানে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক তেঁতুলপাতায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। কিন্তু এরই মধ্যে এক বিপদ উঁকি দিয়েছে তার জীবনে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা বর্তমানে গলব্লাডারে স্টোনের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হবেন এবং ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর অস্ত্রোপচার নির্ধারিত হয়েছে। তবে বয়স এবং উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকার কারণে তিনি কিছুটা চিন্তিত। তা সত্ত্বেও, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Anamika Saha

অসুস্থতা সত্ত্বেও অনামিকা সাহা তাঁর শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘তেঁতুলপাতা’-তে অভিনয় করছেন। এর মধ্যেই রয়েছে আউটডোর শুটও। তাই জন্যই কিছুতেই মিলছিল না ছুটি। জানা গেছে অস্ত্রোপচারের পর তিনি প্রায় ১০ দিনের বিশ্রামে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। বয়স ও উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকায় তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন। তবে, বর্তমানে এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অসুস্থতার খবর শোনার পর অনুরাগীরা তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছেন। অভিনেত্রীর কথায়, “কী যে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বয়সটাও তো অনেকটাই। তার মধ্য সুগার রয়েছে। আমার কি আর একটা রোগ। এর আগেও ডাক্তার করবে বলেছিল, কিন্তু ওই সুগার-প্রেশার সব বেশি থাকায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে আগের থেকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই চিকিৎসক ওই তারিখই দিয়েছেন।”

তিনি নিজেও জানিয়েছেন, কোনোদিনই তাঁকে কোনো অস্ত্রপ্রচার করাতে হয়নি। তবুও চিকিৎসার বিষয়ে কিছুটা চিন্তিত থাকলেও নিজের মানসিক শক্তি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর সাহস ও অধ্যবসায় নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। অনামিকা সাহার দ্রুত সুস্থতা ও সফল অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁর ভক্ত এবং সহকর্মীরা একত্রে প্রার্থনা করছেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।