জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নববধূ বসে পড়লো শাশুড়ির কোলে! শ্বেতার এমন কাণ্ড দেখে কি করল রুবেল?

ছোটবেলা থেকে চেনেন একে অপরকে। সেই ক্লাস সেভেন থেকে। একসঙ্গে নাচ শিখতেন দুজনেই। এরপরই মাঝে অনেকগুলো বছর কোন‌ও সম্পর্ক ছিল না একে অপরের মধ্যে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে চার হাত এক হলো দুজনের। হ্যাঁ, টলিউডের চর্চিত যুগল শ্বেতা-রুবেলের কথাই বলা হচ্ছে। জি বাংলার এককালীন জনপ্রিয় ‘যমুনা ঢাকি’ ধারাবাহিকের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। অবশেষে চলতি বছরে চার হাত এক হলো দুজনে।

গত ১৯ শে জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তারা। পরের দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি ছিল বধূবরণ। এদিন নববধূর গৃহপ্রবেশ হয়েছিল রুবেলের বারাসাতের বাড়িতে। সেই গৃহপ্রবেশের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছেন সোশ্যাল মাধ্যমে। সেই ভিডিও নজর কেড়েছে অনেকের। শ্বেতা ও রুবেলের বিয়ে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। অবশেষে, জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হলো তাদের বধূবরণ অনুষ্ঠান।

বিয়ের পর শ্বেতাকে স্বাগত জানাতে তার শাশুড়ি এক অভাবনীয় মুহূর্ত তৈরি করেন। শ্বেতা শাশুড়ির কোলে বসে পড়েন, যা দেখে উপস্থিত সকলেই অবাক। শাশুড়ি শ্বেতার প্রতি মমতার প্রকাশ হিসেবে নিজ হাতে তাকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। এই দৃশ্য হৃদয় ছুঁয়ে যায় উপস্থিত সকলের। অন্যদিকে, রুবেল দাঁড়িয়ে হাসিমুখে পুরো বিষয়টি দেখছিলেন।

শ্বেতা এবং তার মায়ের এই সুন্দর সম্পর্ক দেখে রুবেল বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি মঞ্চে এসে শ্বেতাকে এবং তার মাকে জড়িয়ে ধরেন। এই দৃশ্য উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই ধরনের আন্তরিক মুহূর্ত পরিবারে নতুন সদস্যকে স্বাগত জানানোর উষ্ণতা ও ভালোবাসার প্রতিফলন। রুবেল ও শ্বেতার এই বিশেষ মুহূর্ত তাদের অনুরাগীদের হৃদয় ছুঁয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।

এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, নেটিজেনরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। অনেকেই মন্তব্য করেন, এই ধরনের পারিবারিক সম্পর্কই আসল সুখের উৎস। শ্বেতা এবং তার শাশুড়ির সম্পর্ক যেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। শ্বেতা ও রুবেলের এই বিয়ে শুধুমাত্র দুটি মানুষের নয়, দুই পরিবারের বন্ধন আরও মজবুত করার একটি প্রমাণ। তাদের এই সুন্দর সম্পর্ক নতুন জীবনের জন্য এক ইতিবাচক সূচনা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।