জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ছোটবেলায় মাকে চোখের সামনে হারানো… দু’র্ঘট’নায় প্রথম স্বামীকেও হারিয়েছেন অন্বেষা রায় মুখোপাধ্যায়! একের পর এক ট্র্যাজেডিতে জীবনের অজানা লড়াইয়ের গল্প জানালেন অভিনেত্রী! বর্তমানে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে কেমন আছেন তিনি?

বিনোদন জগৎ মানেই ঝলমলে আলো, ক্যামেরা আর অ্যাকশন। পর্দায় যেমন হাসি, আনন্দ আর মনোরঞ্জন থাকে তারকারা ঠিক ততটাই চেষ্টা করেন দর্শকদের বিনোদন দিতে। কিন্তু এই আলো-আড়ালের বাইরেও তাদের ব্যক্তিগত জীবনে থাকে অন্য রকম লড়াই, থাকে দুঃখ-কষ্টের স্তর, যা সাধারণ দর্শকের চোখে ধরা পড়ে না। পর্দার চরিত্র যতই শক্তিশালী হোক, বাস্তব জীবনের ব্যথা কিন্তু বহু গভীর। সেই ব্যথার কথাই জানালেন ‘কম্পাস’ ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ অন্বেষা রায় মুখোপাধ্যায় (Anwesha Roy Mukherjee)

বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কম্পাস’-এ অভিনয় করছেন অন্বেষা রায় মুখোপাধ্যায়। অভিনয়ের জগতে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন ইতিমধ্যেই। পর্দার সামনে হাসিমুখে কাজ করলেও তাঁর জীবনের পথ কিন্তু মোটেই মসৃণ ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনের একের পর এক কঠিন অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও শক্ত করে তুলেছে, জানিয়েছেন তিনি নিজেই।

অন্বেষার জীবনের বড় ধাক্কা আসে তাঁর প্রথম স্বামীকে হারানোর মাধ্যমে। একটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় স্বামীর। দুর্ঘটনার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে অন্বেষার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। জীবনের সেই মুহূর্তটি এখনও অভিনেত্রী ভুলতে পারেন না।সেই বেদনা আজও বুকের মধ্যে জমে আছে তাঁর।

এর আগেই জীবনের আরেক বড় আঘাত পেয়েছিলেন অন্বেষা—ছোট বয়সে মাকে হারান তিনি। কিডনি ড্যামেজের কারণে মায়ের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর মুহূর্তটি অন্বেষা নিজ চোখে দেখেছিলেন। তাই আজও তিনি মনে করেন, ছোটবেলায় মা-কে হারানোর যন্ত্রণা ঠিক কী, তা যাদের হয়েছে শুধু তারাই বোঝেন। এই স্মৃতি আজও তাঁর মনে গভীর দাগ কেটে রয়েছে।

সব অতীতের ব্যথা, কষ্ট, হারানো মানুষদের স্মৃতি নিয়েও আবার নতুনভাবে জীবন সাজিয়েছেন অন্বেষা। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন। তাঁর স্বামী কাজের সূত্রে থাকেন সুইডেনে। অভিনেত্রী নিজে নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাট কিনে সেখানে একাই থাকেন এবং নিজের মতো করে জীবনকে নতুনভাবে পথ দেখাচ্ছেন। কাজ, সম্পর্ক আর নতুন জীবনের আনন্দ মিলিয়ে অন্বেষা এখন তাঁর দিনগুলো শান্তভাবে কাটাচ্ছেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।