জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দেবী জ্ঞানে পূজিত হলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য! ‘অপরাজিতাপুজো’ করে বন্ধুর জন্মদিন পালন! —নেটদুনিয়া বলছে ”শ্রদ্ধার শ্রাদ্ধ,পাপের সীমা ছাড়িয়ে গেল!”

এবার বুঝে নিন বাঙালির ভক্তি কতদূর গিয়ে পৌঁছেছে! জন্মদিনে উপহার দেওয়া হয় এতদিন জানা ছিল, কিন্তু তাঁকেই যে পূজো করতে হয় এ কথা বোধয় কেউ জানতেন না? না কোনও মন্দির, না কোনও আখড়া—একেবারে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বসেই পুজো পেয়েছেন অভিনেত্রী “অপরাজিতা আঢ্য” (Aparajita Adhya)! আর তাঁকে পুজো করেছেন তাঁর বান্ধবীই!

সেই পুজোর ভিডিও নিজেই রিল বানিয়ে পোস্ট করেছেন অপরাজিতা, আর তাতেই গোটা ইনস্টাগ্রাম একসুরে বলছে—‘কতটা পাপ করলে এমন রিল চোখে পড়ে!’ জন্মদিনে হোমযজ্ঞ, মাথায় গঙ্গাজল, পূর্ণাহুতি, আর অপরাজিতার শান্ত হাসিমুখ—এই তিনে মিলে এমন দৃশ্য তৈরি হয়েছে যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটপাড়ার। অভিনেত্রী যতই চেষ্টা করুন না কেন চেনা ছন্দের বাইরে বেরিয়ে সাহসিক পদক্ষেপ নিতে ততই তিনি ব্যর্থ হচ্ছেন বলতে গেলে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন!

কেউ লিখেছেন, “মাথাটা কার আগে খারাপ হয়েছিল? বান্ধবীর না অপরাজিতা দেবীর?” কেউ আবার সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, “উনি কি নিজেকে সারদা মা ভাবছেন?” জন্মদিনে আশীর্বাদ পাওয়া যায়, কিন্তু নিজেই নিজের নামে পুজো করিয়ে নেওয়া? নেটিজেনদের কাছে বিষয়টা যেন ভণ্ডামির পর্যায়েই চলে গেছে। এই ভিডিও ঘিরেই অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এতদিন ধরে যেটুকু শ্রদ্ধা ছিল অপরাজিতার প্রতি, সেটাও আজ শেষ হয়ে গেল।

এক ব্যক্তি লিখেছেন, “এতদিন ধরে যেটুকু শ্রদ্ধা ছিল, আজ সেই শ্রদ্ধার শ্রাদ্ধ হলো।” শুধু তাই নয়, কেউ কেউ তাঁর বান্ধবীর কর্মকাণ্ডকেও তুলোধোনা করেছেন। তাঁদের মতে, “না উনি ব্রহ্মচারী, না ত্যাগী, তবু এমন সাজিয়ে পুজো করে হিন্দু ধর্মকে হাসির খোরাক ছাড়া কিছুই করছেন না।” তবে শুধু রাগ বা কটাক্ষ নয়, তীব্র ব্যঙ্গও ঝরেছে কমেন্ট সেকশনে। কেউ বলেছেন, “ওনি পূজিত হবার মতো কী কাজ করলেন, সেটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।”

আবার কেউ লিখেছেন, “উনি নিজেকে সারদা মা ভাবছেন, না কি ওনার বান্ধবী নিজেকে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ ভাবছেন?” সব মিলিয়ে পরিষ্কার, নেটদুনিয়া এই ভিডিওটাকে স্রেফ বিনোদনের বস্তু বলেই দেখেছে, শ্রদ্ধার চোখে নয়। সেলেবদের জীবনে ভক্তি, বন্ধুত্ব বা কীর্তিকলাপের কোনটা আসল আর কোনটা মেকি, সেটা এখন বুঝে ওঠা খুব শক্ত। তবে একথা পরিষ্কার, জন্মদিনের এই ‘অপরাজিতাপুজো’ যে সমাজ মাধ্যমে ভক্তির চেয়ে বেশি করে ট্রোলের আগুনে ঘি ঢেলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page