সাদা কালো থেকে শুরু। তারপর রঙিন। বাংলা সিনেমায় (Bengali Cinema) দীর্ঘ ২৫ ধরে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)। মাত্র ১৬ বছর বয়সে রুপোলি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী। মামলার ফলে অভিনয়ের মাধ্যমে রূপোলি পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী।
সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’, তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’, ‘বাবা তারকনাথ’ কিংবা ‘দাদার কীর্তি’ বা ‘ছোট বউ’ এর মতো বাণিজ্যিক ছবিতেও অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়। ২০২২ সালে হারিয়েছেন জীবনসঙ্গী তরুণ মজুমদারকে। দীর্ঘ ফিল্মি জীবনে বাঙালিকে অজস্র ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। সেই সন্ধ্যা রায় দিনকয়েক আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন হয়ে পড়েন।
অবশেষে স্বস্তি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ।সেকারণেই অভিনেত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। গত ১৫ জুন এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। বুকে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী
১৫ই জুন হাসপাতালে ভরতি হন সন্ধ্যা রায়
দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ১৫ই জুন শনিবার, বুকে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় প্রবীণ অভিনেত্রীকে। আচমকা বুক ধড়পড় করছিল তাঁর। ভর্তির পর ৭৯ বছর বয়সী অভিনেত্রীর ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়। টানা ২৪ ঘন্টা তিনি পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পেল না ভালোবাসা, ভেঙে গেল বিয়ে, সবদিক থেকে বঞ্চিত হল শৌর্য্য! অনির্বাণের সঙ্গে রাইয়ের ন্যাকামি দেখে ক্ষুব্ধ মিঠিঝোরার দর্শকরা
ঠিক কী হয়েছিল সন্ধ্যা রায়ের?
এদিন অভিনেত্রীর একাধিক রক্তপরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা মনে করছিলেন করোনারি ইনসাফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন অভিনেত্রী। অর্থাৎ, অভিনেত্রী হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তবে সেটির প্রভাব খানিক কম। এখনও পর্যন্ত কোনোরকম অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার পরেনি। তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন হয় অভিনেত্রীর চিকিৎসার জন্য। এই চিকিৎসকের টিমই জানিয়েছে সন্ধ্যা রায় এই মুহূর্তে মোটামুটি সুস্থ।