জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ডেটিং অ্যাপে পছন্দের মানুষ খুঁজছেন দেবচন্দ্রিমা? সামনে এলো নায়িকার লুকোনো মনের মানুষ!

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কখনও প্রেম, কখনও বিচ্ছেদ বা কখনও কোনও নতুন সম্পর্কের গুঞ্জন—প্রায়শই উঠে আসে খবরের শিরোনামে। এমন সময়েই হঠাৎ অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহরায়ের এক ইনস্টাগ্রাম স্টোরি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এল। একঝলকে দেখে মনে হতে পারে, নায়িকা কি নতুন করে জীবনে কাউকে খুঁজছেন? কিন্তু আসল সত্যি অন্য কিছু, যা জানার পরেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তাঁর অনুরাগীরা।

সম্প্রতি দেবচন্দ্রিমা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি বার্তা দেন, যেখানে তিনি জানান, কোনও একটি ডেটিং অ্যাপে তাঁর নামে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ওই অ্যাপ থেকে কেউ যদি কথা বলে থাকেন এবং ভেবে নেন, আমি কথা বলছি, তা হলে তো ভয়ঙ্কর সমস্যা হতে পারে।” অতএব, সকলকে সাবধান করতেই এই বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী।

নায়িকা আরও স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, “কোনও দিনই আমার ডেটিং অ্যাপে কোনও প্রোফাইল ছিল না। আর বয়সও পেরিয়ে গিয়েছে। এই অ্যাপে কখনও আগ্রহই ছিল না আমার।” যদিও সমাজের অনেকেই এই অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন, সেদিকটাও অভিনেত্রী অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “আমি এই মাধ্যমের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু আমার পছন্দের জিনিস এটা নয়। তাই কেউ যদি আমার নামে তৈরি প্রোফাইল দেখে কথা বলেন, তা হলে সেটা নিখাদ ভুয়ো।”

সায়ন্ত মোদকের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর থেকেই দেবচন্দ্রিমা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনওরকম আলোচনা করতে চান না। সে কথা একাধিকবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন। এ বার আবার ভুয়ো প্রোফাইলের ঘটনায় নাম জড়ানোয় আরও সতর্ক তিনি। বলিউডের লারা দত্ত থেকে টলিউডের রাজ চক্রবর্তী—এর আগেও বহু সেলিব্রিটির নামে ডেটিং অ্যাপে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি হয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল দেবচন্দ্রিমার।

আরও পড়ুনঃ “মা বকাবকি করে, রান্নাও পারে না” — অর্পিতা মুখার্জির গোপন ফাঁস করল মেয়ে ঐশানি! পর্দার পেছনে স্নেহময়ী মা অর্পিতা, মেয়ের মুখে জানা গেল অজানা অধ্যায়!

এই মুহূর্তে দেবচন্দ্রিমা রয়েছেন থাইল্যান্ডে। ঘোরার মাঝেই নিত্য নতুন ছবি ভাগ করে নিচ্ছেন ইনস্টাগ্রামে। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অদৃজা রায়। কয়েকদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, গত চার মাস ধরে সম্পূর্ণ নিরামিষ আহার করছেন তিনি। কোনও আধ্যাত্মিক কারণে নয়, স্বেচ্ছায় নিজেই মাছ-মাংস ছেড়েছেন। ছোটবেলা থেকেই এই খাবারে তেমন আসক্ত ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন দেবচন্দ্রিমা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।