নতুন প্রজন্মের অভিনেতা এবং ইউটিউবার ‘সায়ক চক্রবর্তী’ (Sayak Chakraborty) এখন এক দোলাচলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সাফল্য, স্বপ্ন আর কিছু ব্যক্তিগত ভাঙনের টানাপোড়েনে তৈরি হয়েছে তাঁর জীবনের জটিল আবহ। একদিকে নতুন করে নিজের জমি কেনার আনন্দ, অন্যদিকে দাদা ‘সব্যসাচী চক্রবর্তী’ (Sabyasachi Chakraborty) এবং বৌদি ‘সুস্মিতা রায়’ (Susmita Roy) এর বিচ্ছেদের চাপ—দুটোই তাঁর জীবনে সমানভাবে প্রভাব ফেলছে।
সায়কের পরিচিতি শুধু ছোটপর্দার অভিনেতা হিসেবেই নয়, তাঁর ইউটিউব ব্লগিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ দর্শকের কাছেও তিনি পরিচিত এক মুখ। নিজের প্রতিটি ছোট-বড় মুহূর্ত তিনি তুলে ধরেন ব্লগের মাধ্যমে। তবে বৌদি সুস্মিতা এবং দাদার দাম্পত্য ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে এতদিন ছিলেন নীরব। এমনকি বিচ্ছেদের খবর সংবাদ মাধ্যম বা সমাজ মাধ্যমে আগুন ধরার আগেও তিনি কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেননি।
তবে এও ঠিক, সুস্মিতার জন্মদিনে একটি ছবি পোস্টের মাধ্যমে ভক্তদের কৌতূহলের কেন্দ্রে চলে আসেন সায়ক। অনেকেই তখন থেকেই আঁচ করেছিলেন, সম্পর্কে কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে। যদিও তখনও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সায়ক। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রথমবার এই ব্যক্তিগত ভাঙন নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে সায়ক বলেন, সুস্মিতা তাঁর বৌদি নন।
সুস্মিতা অনেক আগে থেকেই বন্ধু এবং সহকর্মী ছিলেন। তাই সম্পর্ক ভাঙলেও তাঁর শুভকামনা দুজনের সঙ্গেই রয়ে গেছে। তাঁর কথায়, “দুজন মানুষ একসঙ্গে খারাপ থাকার থেকে আলাদা থেকে ভালো থাকাটা অনেক বেশি জরুরি।” ভাঙনের বিষয়টিকে একেবারেই স্বাভাবিকভাবে এবং পরিণত মানসিকতা নিয়ে গ্রহণ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ডেটিং অ্যাপে পছন্দের মানুষ খুঁজছেন দেবচন্দ্রিমা? সামনে এলো নায়িকার লুকোনো মনের মানুষ!
এই সময়ে দাঁড়িয়ে সায়কের কথা অনেকের চোখ খুলে দিয়েছে। একজন পাবলিক ফিগার হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রতি সম্মান রেখে, সংবেদনশীলতা বজায় রেখে কথা বলতে হয়। সায়কের মতো তারকা যখন বলেন, “ভালো থাকা আগে দরকার,” তখন তা কেবল ব্যক্তিগত উপলব্ধিই নয়, বরং এক প্রকার সামাজিক বার্তাও।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।