Tollywood

“মিঠুনদার জন্য আমি দলের বিপক্ষে লড়েছি, আমি যদি চুরি করে থাকি প্রমাণ করুন!” বিস্ফোরক দেব

অভিনয় থেকে রাজনীতিতে নেমেছেন টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকারা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন টলি সুপারস্টার দেব। একইসঙ্গে অভিনয় ও রাজনীতি দক্ষ হাতে ব্যালেন্স করছিলেন তিনি। যদিও জল্পনা পিছু ছাড়ে না দেবের। রাজনীতির ময়দানের কালিমা এসে লেগেছে সাংসদ দেবের গায়েও। সম্প্রতি রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত জানান দেব। এবার থেকে করবেন শুধু অভিনয়। নায়কের এই সিদ্ধান্তে তোলপাড় হয়ে ওঠে সিনে দুনিয়া।

এরইমধ্যে ছিল ‘প্রধান’-এর (Pradhan) সাকসেস পার্টি। এদিন কেক কেটে সেলিব্রেশনের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন অভিনেতা। তিনি বলেন, তিনি কখনোই অভিনয়ের জন্য রাজনীতি ছাড়েননি। আবার রাজনীতির জন্য অভিনয় ছাড়েননি। এছাড়া ঘাটাল নিয়ে তাঁর অনেক স্বপ্ন আছে বলে উল্লেখ করেন অভিনেতা। এর পরের বারের ভোটে তিনি ঘাটাল থেকে দাঁড়াবেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা।

বিপক্ষ দলের হয়ে দাঁড়ালেও বর্ষীয়ান অভিনতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে কোনো রেষারেষি নিয়েও স্পষ্ট জানান দেব। বরং তাঁকে আলাদা শ্রদ্ধার চোখে দেখেন অভিনেতা। দেব-মিঠুনের ‘প্রজাপতি’ প্রভূত জনপ্রিয়তা পায় দর্শক মহলে। সম্প্রতি বর্ষীয়ান অভিনেতার অসুস্থতায় হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছেন দেব। শুধু মিঠুন চক্রবর্তী নন, বিপক্ষ দলের সব প্রার্থীকেই শ্রদ্ধা ও স্নেহের চোখে দেখেন বলে উল্লেখ করেন অভিনেতা দেব।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দেব। তিনি বলেন, রাজনীতি হল সেটাই যেখানে কিভাবে অন্যকে ছোট করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেকে বড় করা যায়। আর সেই রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না বলেই স্পষ্ট জানান নায়ক। এছাড়াও তিনি বলেন, ভোটের আগে সবাই বলে জিতে এলে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। যদিও পঁচাত্তর-ছিয়াত্তর বছরে তার কিছুই হয়নি বলেই উল্লেখ করেন দেব। এরপরই প্রশ্ন ওঠে তবে কি রাজনীতির ময়দান চিরতরে ছাড়ছেন অভিনেতা?

যদিও এরপরেই দেব জানান, তাঁর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তিনি এও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ঘাটালের মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে এমন একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, যার কারণে তাঁর মনে হয় এই মাস্টার প্ল্যানকে সফল হতে দেওয়া একান্ত জরুরি। আর সেই কারণেই তিনি ঘাটালের মানুষ দের স্বপ্ন পূরণের স্বার্থে আবারও ভোটে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র।