জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘আমি চাই, রুক্মিণী যেন আমার হাতটা এখন ছেড়ে…’ বিশেষ সঙ্গীর ছবির প্রিমিয়ারে দেবের অকপট মন্তব্যে! তার হাত ছেড়ে, রুক্মিণীকে কার হাত ধরার পরামর্শ দিলেন মেগাস্টার? নতুন করে উঠছে প্রশ্ন, সত্যিই কি দূরত্ব বাড়ছে দু’জনের মধ্যে?

টলিউডে বাবা-মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে খুব কম ছবি তৈরি হয়, কিন্তু ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ (Haati Haati Paa Paa) সেই শূন্যতা ভরাট করতে এসেছে একটু অন্যরকম আবেগ নিয়েই। রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra) এবং চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর পর্দার সম্পর্কটা শুধু স্ক্রিপ্টে বাঁধা নয়, তার মধ্যে আছে অনেকটা জীবনের ছোঁয়া। শুরুতে তাঁদের ছোটখাটো ঝগড়াঝাটি, অভিমানের টানাপোড়েন, আবার পরক্ষণেই একে অন্যের ভরসা হয়ে দাঁড়ানো মিলিয়ে সেই চিরচেনা বাঙালি সংসারের ছবি। মাকে হারানো একটি মেয়ে যখন বাবাকেই পুরো পৃথিবী করে তোলে, সেই নীরব দায় সম্পর্কটাকে আরও গভীর করে দেয়।

রুক্মিণীর চরিত্রটাকে পরিচালক যে ভেবেচিন্তে লিখেছেন তা স্পষ্ট। তাঁর অভিনয়ে আছে এক ধরনের সহজাত টান, যেন চরিত্রটা তাঁর নিজের জীবনেরই অংশ। আর চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীও পর্দায় সেই বাঙালি বাবার ভূমিকাকে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তুলেছেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন করে বাবারা একটু বেশি জেদি আর একটু বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, ছবির গল্পে তার সঠিক প্রতিফলন স্পষ্ট। একদিকে মেয়ের দায়িত্ব, অন্যদিকে নিজের অভিমান, সব মিলিয়ে বাবা-মেয়ের এই গল্পটা এক অন্যরকম ভালোলাগা।

এই ছবি ঘিরে আলোচনার পাশাপাশি বাড়তি আকর্ষণ অবশ্যই রুক্মিণী ও দেবের রসায়ন ঘিরেও। যদিও দেব এই ছবির অংশ নন, তবে রিল লাইফে তাঁরা একসঙ্গে না থাকলেও রুক্মিণীর যে কোনও নতুন কাজেই দেবের পাশে থাকা যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’র টিজার প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর শুভেচ্ছা থেকে শুরু করে পাত্র খোঁজার বিজ্ঞাপনে ঠাট্টা, সবকিছুই প্রচারে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। মজা করে ‘ঈশ্বর সদয়’ লেখা পোস্ট হোক বা ‘পেলে, জানিও’ বলে দেবের খোঁচায় যে প্রেম মেশানো আন্তরিকতা আছে, তা দর্শকরাও ভালবাসছেন।

গতকাল ছিল ২৮ নভেম্বর, ছবির মুক্তির সঙ্গে প্রিমিয়ারেও দেব রুক্মিণীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এদিন দেব যে কথাটা বললেন, সেটাই যেন পুরো সম্পর্কের রসায়নটা সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। তিনি পরিষ্কার বলেন, রুক্মিণীর সঙ্গে তিনি কখনও হাঁটি হাঁটি পা পা করেননি—বরং দৌড়েছেন। এখন তাঁর ইচ্ছা, রুক্মিণী যেন সেই দৌড় থেকে একটু আলাদা হয়ে নিজের সাফল্যের দিকে হাত বাড়ায়। মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদই এই মুহূর্তে রুক্মিণীর সবচেয়ে বেশি দরকার, এমনটাই মনে করেন দেব। এই মন্তব্যটিতে যেমন সহায়তার হাত বাড়ানো আছে, তেমনই আছে প্রেমিকার উপর নিঃশর্ত ভরসা।

দেবের নিজের ভাষায়, “আমি কখনওই রুক্মিণীর সঙ্গে হাঁটি হাঁটি পা পা করিনি, বরং দৌড়িয়েছি। এখন আমি চাই, ও যেন আমার হাতটা ছেড়ে একটু সাফল্যের হাতটা ধরে এগিয়ে যায়। কারণ এখন যেটা দরকার সেটা হচ্ছে মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসা। বাকি অন্য কিছুর জন্য সারা জীবন পড়ে আছে।” সব মিলিয়ে, ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ ছবির আবহ যেমন উষ্ণ, তেমনই বাস্তব জীবনের এই মানুষগুলোর সম্পর্কও দর্শকের কাছে ঠিক ততটাই আপন মনে হচ্ছে। গল্পটা শেষ পর্যন্ত কতটা হৃদয় ছুঁতে পারে তা সময় বলবে, কিন্তু আপাতত দর্শক যে ছবিটির জন্য আগ্রহী তা স্পষ্ট।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page