এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার সরগরম তন্বী লাহা রায়ের এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে। মিঠাই সিরিয়ালের তোর্ষা অর্থাৎ মিঠাইয়ের বড় যা দাবি করেছে যে কোনও কোনও অভিনেতা অভিনেত্রী বড় সুযোগ পেয়ে বড় জায়গায় পৌঁছে যাবার পর যাদের সঙ্গে কোল্যাব করেছে তাদের সঙ্গে সব পোস্ট আনকোল্যাব করে দিয়েছে বা আনফলো করে দিয়েছে। তারপরেই নায়িকা একটা প্রশ্ন রেখেছেন যে তিনি জানেন প্রোফাইল যার সেটা তার ইচ্ছে তবে এত বছর কেন ফলো করে রেখেছিল? ঠিক তারপরেই সমস্ত অভিযোগের কেন্দ্রে উঠে আসে মিঠাই সিরিয়ালের মূল নায়িকা সৌমীতৃষা কুণ্ডুর নাম।
মিঠাই সিরিয়াল বেশ কয়েক বছর ধরে দর্শকদের ব্যাপক বিনোদন দিয়েছে এবং তারপরে জুন মাসে এই বছরেই শেষ হয়েছে এই সিরিয়াল। তবে সিরিয়াল যখন চলছিল তখন ও যেমন একে ঘিরে উন্মাদনা ছিল ঠিক ততটাই উন্মাদনা রয়েছে সিরিয়ালের প্রতিটা চরিত্রকে কেন্দ্র করে শেষ হওয়ার এত মাস পরেও। শুধু তাই নয় চরিত্র গুলির অনস্ক্রিন এবং অফস্ক্রিন বন্ডিং দেখার মত ছিল এমনটাই বলতো সবাই। কিন্তু সেগুলি কি সবই তাহলে মিথ্যে ছিল নাকি ছিল লোভ দেখানো?
সৌমীতৃষা কুণ্ডু এই নিয়ে যদিও প্রথমবার কটাক্ষের মুখে পড়েনি। বারবার নানা কারণে নানাভাবে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি নায়িকার প্রথম সিনেমা মুক্তি পেয়েছে যার নাম প্রধান। টলিউডের সুপারস্টার দেবের সঙ্গে কাজ করেছে দেবের স্ত্রীর ভূমিকায়। আর তাই তন্বীর এই পোস্ট দেখে অনেকেই অনুমান করছে যে হয়তো তার দিকেই আঙ্গুল তুলল তন্বী। দুই নায়িকার মধ্যে কেউই এই নিয়ে সোজাসুজি নাম নিয়ে কথা বলেনি বা অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি।
তবে অভিযোগের পারদ নামছে না বরঞ্চ দিন দিন আরো উপরে উঠেছে। যার সঙ্গে জীবনে প্রথম সিনেমা সেই দেবের প্রযোজনা সংস্থা কি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নাকি আনফলো করে দিয়েছে মিঠাই। শুধু তাই নয় যে সিরিয়াল যে চরিত্র তাকে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা দিয়েছে সেই সিরিয়াল যেখানে সম্প্রচারিত হতো অর্থাৎ মিঠাই সিরিয়ালের জি বাংলাকে নাকি আনফলো করে দিয়েছে এই নায়িকা। আর এরপর নাকি দেব প্রোডাকশন আর দেবের প্রেমিকা এবং জনপ্রিয় টলিউড অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রকেও অনফলো করে দেওয়া হয়েছে।
Table of Contents
আরও পড়ুনঃ বড় চমক থাকছে আসন্ন পর্বে! ক্ষমা চেয়ে পর্ণাকে যোগ্য বউমার সন্মান দিল কৃষ্ণা
যিনি এই অভিযোগ করেছেন তিনি বিশ্লেষণ করে লিখেছেন যে, “আচ্ছা অনেক তো হলো সৌমি, তন্নি কে নিয়ে কথা।কেও বলছে সৌমি ভুল করেছে কেও বলছে তন্নি।বাট আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়। সৌমি এর আগেও শায়ক দের আনফোলো করেছিল,পরে আবার ফলো দিয়েছিল। এবার তন্নী,ধ্রুব কে আনফোলো দিল,জি বাংলা কেও আনফোলো দিলো। even দেব প্রডাকশন কে এবং রুকমিনীকেও আনফোলো দিলো। আচ্ছা আমার প্রশ্ন টা হলো সৌমি যখন আনফোলো বাটন টায় প্রেস করছিল তখন ওর সাইকোলজি কি বলছিলো? ওর মাথায় কি চলছিল? কি ভেবে ও আনফোলো তে চাপ দিল? কেও বলতে পারবেন?”