যেখানে অনেকেই পড়াশোনার চাপে শখ-আহ্লাদ ত্যাগ করেন, কিংবা কেরিয়ারের টানে বইয়ের পাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন, সেখানে কেউ কেউ আছেন যাঁরা দুই দিক সামলেই বাজিমাত করেন। সে তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ, যিনি ছোটবেলাতেই হয়ে উঠেছিলেন লক্ষ দর্শকের ‘রাণীমা’। এবার তিনি জীবনের আর এক মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করলেন।
অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন আলাদা। রানী রাসমণি রূপে সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি, অথচ নিজেকে আটকে রাখেননি ক্যামেরার আলোর মধ্যেই। ক্লাসরুম, নোটস, আর প্রজেক্ট—সবই চলেছে একসঙ্গে। বহু দর্শকের ধারণা ছিল, অভিনয় জগতে পা রাখলে পড়াশোনায় মন দেওয়া অসম্ভব। কিন্তু সেই ধারনায় জল ঢেলে দিয়ে দিতিপ্রিয়া দেখিয়ে দিলেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে কিছুই থামাতে পারে না।
নিজের সামাজিক মাধ্যমে আগেই ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি, কীভাবে মাস্টার্স শেষ করার লড়াইটা চালিয়ে গেছেন। গভীর রাতে জেগে তৈরি করেছেন একের পর এক প্রজেক্ট, সুপারভাইজারের সঙ্গে করেছেন দীর্ঘ আলোচনা, শেষে জমা দিয়েছেন মাস্টার্সের ডিজার্টেশন পেপার। দিতিপ্রিয়ার কথায়, “অনেকেই ভেবেছিলেন আমি মাধ্যমিক পর্যন্তই পড়তে পারব না। কিন্তু ওই সন্দেহগুলোই আমাকে জেদি করে তুলেছিল। আজ আমি গর্বিত—রেগুলার স্টুডেন্ট হিসেবেই মাস্টার্স শেষ করলাম।”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া জানান, এখানেই থেমে থাকবেন না। তিনি জানান, “পড়াশোনা আমার কাছে পেশার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। নেট পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছি। ভবিষ্যতে পিএইচডি করতেও চাই। কলেজে ৭১ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলাম, তারপর স্কলারশিপ পেয়ে মাস্টার্স করেছি। এবার রেজাল্ট কী হয়, সেটাই ভবিষ্যতের পথ ঠিক করে দেবে।” পড়াশোনার প্রতি তাঁর এই একাগ্রতাই তাঁকে আলাদা করে তোলে।
আরও পড়ুনঃ ‘আমার ছবি ব্যবহার করলেই আইনি পদক্ষেপ নেব!’ হুঁশিয়ারি টলি অভিনেত্রী শ্বেতার! ‘নিজেকে বিরাট সেলিব্রেটি ভাবছে’, ‘বিয়ের লুকে একটু ভালো লেগেছে বলে নিজেকে বিরাট কিছু মনে করছে’, অভিনেত্রীকে কটাক্ষ নেটপাড়ার
এখন তিনি ব্যস্ত এ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ এর শুটিং নিয়ে, যেখানে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন জিতু কমল। সহ-অভিনেত্রী হিসেবে দিতিপ্রিয়ার সম্পর্কে জিতুর মত, “ও যেমন পরিশ্রম করে অভিনয় করে, তেমনটাই মন দিয়ে পড়াশোনাও করে। ও আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে একজন উপমা।”