জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমাকে তখন বেশি কেউ পাত্তা দিত না” — অবহেলা, অনুষ্ঠানে কোণঠাসা-এইসব অভিজ্ঞতাই কি আজ গার্গী রায়চৌধুরীর অভিনয় জগতে আসার মূল কারণ? কবে থেকে কিভাবে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত অভিনেত্রী? – জানালেন নিজের মুখেই!

বাংলা বিনোদন জগৎ সব সময়ই নানা মাধ্যমের শিল্পীদের অবদানকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে। থিয়েটার, সিনেমা, টেলিভিশন কিংবা ওয়েব—সব ক্ষেত্রেই এমন কিছু শিল্পী রয়েছেন, যাঁরা নীরবে কাজ করে গিয়েছেন বছরের পর বছর। আলো-আড়ালের এই যাত্রায় অনেক সময় তাঁদের কাজই হয়ে ওঠে আসল পরিচয়। এই বিনোদন জগতেই নিজের মতো করে জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী।

দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয়ের নানা মাধ্যমে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে আসছেন গার্গী। চরিত্রের গভীরে ঢুকে অভিনয় করা, সংলাপের স্বাভাবিকতা এবং আবেগের সংযম—এই বিষয়গুলোর জন্য আলাদা করে নজর কেড়েছেন তিনি। কখনও বড় পর্দায়, কখনও ছোট পর্দায় কিংবা ওয়েব মাধ্যমে, প্রতিবারই নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে পেরেছেন অভিনেত্রী। জনপ্রিয়তার চেয়ে কাজের মানকেই বরাবর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

এই অভিনয় জীবনের মধ্যেই আবার একবার মঞ্চে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গার্গী রায়চৌধুরী। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি অভিনয় করেছেন একক নাটক ‘তারাসুন্দরী’-তে। শুধু অভিনয়ই নয়, নিজের প্রযোজনা সংস্থা থিয়েটার প্লাস-এর ব্যানারে নাটকটির দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। ঊনবিংশ শতকের এক বিস্মৃত মঞ্চশিল্পীর জীবন ও সংগ্রামকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এই নাটকে যুক্ত হওয়া—এমনটাই তাঁর লক্ষ্য।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে গার্গী রায়চৌধুরী নিজের শুরুর দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে বেশ অকপটে বলেন, তিনি নিজেও ঠিক জানেন না কবে থেকে বিনোদন জগতের সঙ্গে তাঁর পথচলা শুরু। ছোটবেলা থেকেই নাচ, গান, আবৃত্তি—সব কিছুতেই তাঁর আগ্রহ ছিল। কোনও অনুষ্ঠান হলে তিনি অপেক্ষা করতেন, কখন তাঁকে গান গাইতে বলা হবে। তবে সেই সময় খুব বেশি কেউ তাঁকে গুরুত্ব দিতেন না বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

গার্গীর কথায়, একবার গান শুরু করলে তিনি থামতেন না—এই কারণেই অনেক সময় মানুষ তাঁকে এড়িয়ে চলত। তবুও এই অভিজ্ঞতাগুলোই ধীরে ধীরে তাঁকে অভিনয়ের জগতে এনে দেয়। মজার ছলেই শুরু হলেও, সেই ছোটবেলার না-পাওয়া গুরুত্ব আজ তাঁর কাছে বড় শিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা আর নিজের মতো করে লড়াই করেই তিনি আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন—এমনটাই স্পষ্ট তাঁর কথায়।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page