“জগন্নাথ না চাইলে কিছুই হত না”, “মহাপ্রভুর আশীর্বাদেই জীবনের মোড় ঘুরেছে”— পুরীতেই স্বপ্নপূরণ এবং মহাপ্রভুর কৃপার গল্প শোনালেন ইন্দ্রাণী! পর্দা থেকে দূরে, রথযাত্রায় ঈশ্বরসেবায় ব্যস্ত অভিনেত্রী!

রথযাত্রার (Rath Yatra 2025) দিনটা অভিনেত্রী ‘ইন্দ্রাণী হালদার’ (Indrani Haldar)-এর কাছে শুধুই উৎসব নয়, এটা তাঁর আত্মিক আরাধনার দিন। বছরের এই একটি দিন জগন্নাথদেবের সেবা না করে তাঁর মন শান্তি পায় না। পর্দায় তাঁকে এখন খুব একটা দেখা না গেলেও, এই আধ্যাত্মিক দিকেই যেন এখন বেশি মনোযোগী অভিনেত্রী। ক্যামেরাতেও আজকাল খুব কমই ধরা দেন। সম্প্রতি রথযাত্রার দিন জগন্নাথসেবার পর একান্ত সময়ে ভাগ করে নিলেন, তাঁর জীবনে জগন্নাথদেবের গুরুত্ব!

অতীতে বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশীদের নিয়ে জমিয়ে রথযাত্রার পুজো করলেও এখন আর তেমনটা করেন না। বড় সমারোহে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে যাঁর জন্য পুজো, সেই মহাপ্রভুর সেবাতেই মন দেওয়া হয় না বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তাই এখন একান্তভাবে নিজের মতো করেই পালন করেন রথযাত্রা। নিজের বাড়িতে পুরোহিত ডাকেন না, বরং নিজেই করেন মহাপ্রভুর আরাধনা। গোছগাছ থেকে রান্নাবান্না— সব কিছু নিজের হাতে করেন ইন্দ্রাণী।

বছর বছর অল্প অল্প করে গড়ে তুলেছেন জগন্নাথদেবের গয়না ও সাজসজ্জা। এবারও সোনার গয়না ও নতুন বস্ত্রে সাজিয়েছেন তাঁর প্রিয় ঠাকুরকে। গোলাপজল ও অষ্টগন্ধা মিশিয়ে করিয়েছেন স্নান, আর ইসকন থেকে আনা আতর ছিটিয়েছেন শ্রদ্ধাভরে। পুজোর ভোগেও ছিল রাজকীয় ছোঁয়া— বাসমতী পোলাও, পনিরের তরকারি, ওড়িশার মিঠা ডালি, খেজুর-আমসত্ত্বের চাটনি, মালপোয়া আর রাবড়ি।

অভিনেত্রী বললেন, এখন আর শরীর ততটা সাড়া দেয় না, তার উপর ফ্ল্যাটবাড়িতে একসঙ্গে অনেক লোককে নিয়ে পুজো করাও কষ্টকর। তাই অল্পতেই তৃপ্ত হন, আর তাতেই তাঁর মহাপ্রভুর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। ইন্দ্রাণীর বিশ্বাস, জীবনে যা কিছু পেয়েছেন, তার মূলে রয়েছেন মহাপ্রভু জগন্নাথ। বহু দিন ধরে তাঁর ইচ্ছা ছিল পুরীতে একটি ফ্ল্যাট কেনার, কিন্তু নানা বাধা এসে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দিচ্ছিল না।

আরও পড়ুনঃ ‘ডিভোর্স নয়, সময় চেয়েছিলাম, মেন্টাল সেপারেশনে ছিলাম! সেটাই চিরবিদায় হবে ভাবিনি’—স্বামীর চলে যাওয়ার পর আজ‌ও তাকে ঘিরেই বাঁচেন ‘মিঠিঝোরা’ অভিনেত্রী পৌষমিতা গোস্বামী!

এমনকি একটি বাড়ি পছন্দও হয়ে গিয়েছিল, শেষমেশ সেটাও হয়নি। মন খারাপ করে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মহাপ্রভুর যেন আবার নতুন দিশা দেখান। অবশেষে মহাপ্রভুর কৃপায় পেয়েছেন নিজের পছন্দের ঠিকানা সেই পুরীতেই। অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা, “জগন্নাথ না চাইলে এই স্বপ্ন কখনও বাস্তব হত না।” তাঁর জীবনে ভক্তি ও বিশ্বাসের এই সংমিশ্রণ যেন আজকের ইন্দ্রাণীকে আরও শান্ত, আরও পূর্ণ করে তুলেছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।