তিন তিনটি বিয়ে, একাধিক সম্পর্ক, সংসার ভাঙা-গড়ার ইতিহাস—এসব নিয়ে ‘কাঞ্চন মল্লিক’ (Kanchan Mullick) -এর জীবন যেন ধারাবাহিকের চেয়েও নাটকীয়। অথচ সব বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সম্প্রতি পাহাড়ে প্রেম, বাড়িতে জামাইষষ্ঠীর পঞ্চব্যাঞ্জন, মুখে গদগদ হাসি—কাঞ্চন-শ্রীময়ী (Sreemoyee Chattoraj) যেন ‘পারফেক্ট কাপল’। কিন্তু এই ছবির বাইরেও যে একটা চড়া রঙের মুখোশ আছে, সেটা আবারও মনে করিয়ে দিলেন দর্শক।
কখনও শ্রীময়ী কন্যাসন্তানকে কোলে নিয়ে গৃহিণীর সাজে জামাইষষ্ঠীর ছবি, কখনও বা পাহাড়ে ঘোরার ভিডিও—সবেতেই যেন ‘ভালোবাসা দেখানোর’ প্রতিযোগিতা। অথচ অতীতের কোনও অধ্যায়েই এখনও পর্যন্ত তাঁরা সামান্য অনুশোচনা পর্যন্ত দেখাননি! যেন বিতর্কের মাঝেও ‘হ্যাপি কাপল’ তকমাটাই বড় বেশি প্রিয়। তবে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত শ্রীময়ী সম্প্রতি এক মন্তব্যকে ঘিরে। যেখানে একপ্রকার কাঞ্চনকে মহা ‘চরিত্রবান’ উপাধি দিতে দেখা যায় তাঁকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন-শ্রীময়ী তাঁদেরকে ঘিরে চলতে থাকা সমস্ত বিতর্ক নিয়ে কথা বলেন। এরই মধ্যে শ্রীময়ী বলেন,”একজন সুপুরুষ ব্যক্তি, যাঁর গায়ের রং দুধের মতো সাদা, টানা টানা চোখ কিন্তু চরিত্রের ঠিক নেই, তাদের সঙ্গে মেয়েদের সম্পর্ক রাখাই দায় হয়ে যায়। তারাই সমাজ মাধ্যমে অন্যদের জীবনে বেশি হস্তক্ষেপ করে, অন্যদের বডি সেমিং করে। আমি মনে করি তাঁর থেকে যে মানুষটার নেটিজেনদের মতে কুৎসিত চেহারা, তাঁর সঙ্গেই ঘর বাঁধা উচিৎ।
কারণ তাঁর চরিত্রটা অন্তত ঠিক এবং মেয়েদের সন্মানও করে সে।” এর পরেই কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে নিয়ে নতুন সমালোচনা শুরু হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। অনেকেই বলছেন,”তবে কী দুটো মেয়ের জীবন নষ্ট করে দেওয়া কাঞ্চনকে আপনি চরিত্রবান বলে মনে করেন?” “কুৎসিত তো আপনার স্বামী বটেই! তবে শুধু চেহারায় নয় বরং চরিত্র এবং মানুষিকতার দিক দিয়েও!” কেউ কটাক্ষ করেছেন,”যে অন্যের বরের সাথে প্রেম করে একটা সংসার ভেঙেছে, সে নিজেকে চরিত্রবান মনে করছে!
আরও পড়ুনঃ “জগন্নাথ না চাইলে কিছুই হত না”, “মহাপ্রভুর আশীর্বাদেই জীবনের মোড় ঘুরেছে”— পুরীতেই স্বপ্নপূরণ এবং মহাপ্রভুর কৃপার গল্প শোনালেন ইন্দ্রাণী! পর্দা থেকে দূরে, রথযাত্রায় ঈশ্বরসেবায় ব্যস্ত অভিনেত্রী!
ওই যে পাশে বসে আছে আবার চরিত্রবান পুরুষ!” কেউ বলেছেন, “তোমার মুখে চরিত্রবান কথাটা মানায় না তোমার বর ই তো চরিত্রহীন!” এক ব্যক্তির ক্ষোভ, “আপনাদের খুশি নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই, কিন্তু পুরনো সম্পর্ককে অপমান করে যদি নতুন ভালবাসা সাজাতে হয়, সেটা মোটেও পরিণত আচরণ নয়।” অনেকেই মনে করছেন, এই তথাকথিত ‘আত্মবিশ্বাসী’ দম্পতির মধ্যে কোথাও একটা অদ্ভুত দৃষ্টান্ত তৈরি হচ্ছে, অতীতের সম্মান না রেখে ‘নতুন সাজানো সংসার’ দেখাতেই ব্যস্ত কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।
