ধারাবাহিকের গল্পের মোড় ঘুরলেই দর্শকের আগ্রহ বেড়ে যায়। কিন্তু যখন পর্দার বাইরেও গুঞ্জন ছড়ায় প্রিয় জুটিকে ঘিরে, তখন তা নিয়ে কৌতূহল আরও কয়েক গুণ বাড়ে। সম্প্রতি ঠিক এমনই কিছু ঘটছে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র আর্য ও অপর্ণাকে ঘিরে। রিয়েল লাইফে অভিনেতা জীতু কমল ও অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় নাকি শ্যুটিং সেটেই মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দিয়েছেন! এমনকি শোনা যাচ্ছিল তাঁরা নাকি একই ঘরে বসতেও নারাজ। গুঞ্জন ছড়িয়েছে নেটদুনিয়া জুড়ে। তবে কি সত্যিই মনোমালিন্য? নাকি সবটাই নিছক রটনা?
সম্প্রতি এই চর্চার মাঝেই হঠাৎ করেই দর্শকদের চমক দিলেন দুই তারকা। চ্যানেলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একসঙ্গে লাইভে এসে সব জল্পনায় জল ঢাললেন জীতু ও দিতিপ্রিয়া। ফেসবুক লাইভে হাসিমুখে উপস্থিত হয়ে তাঁরা শুধু ধারাবাহিকের বিশেষ পর্ব নিয়েই কথা বললেন না, বরং দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই মজাদারভাবে খুললেন মুখ, সেই ‘দূরত্বের’ গুজব নিয়েও।
ফেসবুক লাইভে প্রথমেই ধারাবাহিকের একটি বিশেষ পর্বের শ্যুটিং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন দু’জনে। জীতু জানান, সেই দৃশ্যের শ্যুটিং করতে করতে রাত তিনটে বেজে যায়। তখন মশকরা করে বলেন, “রাত তিনটের সময়ে দিতিপ্রিয়ার চোখের দিকে তাকালেই ভয় লাগবে!” দিতিপ্রিয়াও হেসে ওঠেন, জানান, এমন সময় শ্যুট করতে গিয়ে কীভাবে তাঁরা একসঙ্গে মজা করে সময় কাটান।
এখানেই থামেননি জীতু। লাইভ চলাকালীন এক জায়গায় অভিনেত্রী সম্পর্কে ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ধারাবাহিকের আর্য যেমন অপর্ণাকে স্নেহ করে, আমি তেমনই দিতিপ্রিয়াকে খুব সম্মান করি।” এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, পর্দার বাইরেও তাঁরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং পেশাদার আচরণ বজায় রাখেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সেই ‘দুই ঘরে থাকার’ গুজব প্রসঙ্গে তাঁদের উত্তর। দিতিপ্রিয়া হেসে বলেন, “আলাদা ঘরে থাকাটা তো স্বাভাবিক! মেয়ে ও ছেলেদের আলাদা আলাদা প্রসাধন ঘর দেওয়া হয় সবসময়েই। কেউ কখনও একঘরে ছিল না।” সঙ্গে সঙ্গেই জীতু যুক্ত করেন, “মানুষ বলছে আমরা এক ঘরে থাকছি না! আরে ভাই, আমরা এক ঘরে থাকবই বা কেন?”
আরও পড়ুনঃ জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় পাল্টে গেল আসন! ফুলকি-পরিণীতার দারুন কামব্যাক!রানী ভবানী আর জগদ্ধাত্রীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! চিরসখা-রাঙামতি’র ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা! পরশুরাম কি রয়েছে শীর্ষে? কে এগিয়ে কে পিছিয়ে?
এই লাইভ থেকেই স্পষ্ট, গুঞ্জনের কোনও সত্যতা নেই। বরং দুই তারকার মধ্যকার রসায়ন এবং বন্ধুত্বই তাঁদের কাজের জায়গায় ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখছে। দর্শক হিসেবে আমরা হয়তো গল্পের মোচড়ে উত্তেজিত হই, কিন্তু পর্দার পেছনের এই বন্ধুত্বই শিল্পীজীবনের সবচেয়ে বড় জয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।