বরাবর তারকাদের সন্তানরা নিজেদের পরিচিতি তৈরি করতে পারলেও, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের বাবা-মায়ের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে। বিশেষত, যদি বাবা হন সুপারস্টার, তবে তাঁদের ছেলেমেয়েদের আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এমনই এক উদাহরণ মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) পরিবার। ডিস্কো ড্যান্সার (Disco dancer) খ্যাত এই কিংবদন্তি অভিনেতার সন্তানদের পরিচয় এখনো বাবার নামেই বেশি শোনা যায়। কিন্তু এই বিষয়টিকেই এবার প্রশ্নের মুখে তুললেন তাঁর ছোট ছেলে নমশি চক্রবর্তী (Namashi Chakraborty)।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নমশি বলেন, শুধুমাত্র বাবার নামেই কেন তাঁদের পরিচয় হবে? মিঠুন চক্রবর্তীর পাশাপাশি তাঁদের মা ‘যোগিতা বালি’ (Yogeeta Bali) ও তো বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। আশির দশকে একের পর এক সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু আজকের প্রজন্মের অনেকেই জানেন না যে তাঁদের মা এত বড় তারকা ছিলেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “বাবার পরিচয়ে সবাই আমাদের চেনে, কিন্তু আমাদের মায়ের পরিচয় যেন কোথাও হারিয়ে গেছে।
অথচ তিনিও একসময় বলিউডের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন।” নমশি আরও বলেন, “আমাদের মা প্রায় ১০০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে তিনি চিরকাল প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেছেন। এমন অনেক সিনেমা আছে, যেগুলো মা চেয়েছিলেন আমরা না দেখি। হয়তো তিনি লজ্জা পেতেন, বা ব্যক্তিগত কারণেই চাইতেন না আমরা তাঁর কিছু কাজ দেখি। তবে মায়ের এমন অনেক সিনেমা আছে যেগুলো আমার সত্যিই খুব ভালো লাগে।
আর বাবার সঙ্গে অনস্ক্রিন মাকে দেখতে আমার সবসময়ই দারুণ লাগে।” প্রসঙ্গত, বলিউডে মিঠুন চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বহুবার চর্চা হয়েছে। তাঁর নাম একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে জড়ালেও, যোগিতা বালির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আজও অটুট। ১৯৭৮ সালে কিশোর কুমারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর ১৯৭৯ সালে মিঠুনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন যোগিতা। তারপর থেকে তাঁদের দাম্পত্য ৪৪ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে এসেছে। সুখে-দুঃখে, ওঠা-নামায় একসঙ্গে পথ চলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ সঞ্চালিকা থেকে হিরোইন, কিন্ত আজ তাঁর হদিশ নেই! কেন আজ লাইম লাইটের আড়ালে ‘হাওড়া ব্রিজ’ খ্যাত সন্ধিতা চ্যাটার্জী
মিঠুন-যোগিতার সংসারে চার সন্তান— তিন পুত্র মহাক্ষয় (মিমো), উষ্মে ও নমশি এবং দত্তক কন্যা দিশানি। বড় ছেলে মহাক্ষয় ইতিমধ্যেই বলিউডে পা রেখেছেন, ছোটরাও ধীরে ধীরে নিজেদের কেরিয়ার গড়ার চেষ্টা করছেন। তবে নমশির সাম্প্রতিক মন্তব্য ফের একবার মনে করিয়ে দিল, মিঠুন চক্রবর্তীর পাশাপাশি যোগিতা বালিও তাঁদের পরিবারের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, যাঁর পরিচয় ভুলে গেলে চলবে না।