টলিউডের অন্যতম সুন্দরী মুখ ‘মনামী ঘোষ’ (Monami Ghosh) ছোটপর্দার দর্শকদের কাছে যেমন জনপ্রিয়, তেমনই বড়পর্দায়ও নিজের জায়গা শক্ত করে নিয়েছেন তিনি। ছোট পর্দায় ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘পুন্যি পুকুর’, ‘ইরাবতীর চুপকথা’-র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি সবার মনে জায়গা করে নেন। বিশেষ করে ‘পুন্যি পুকুর’ স্টার জলসার পর্দায় তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ। ২০১৯ সালে শেষ হওয়া ‘ইরাবতীর চুপকথা’ পর তাঁকে আর টিভির পর্দায় দেখা যায়নি। মনামী বর্তমানে বড়পর্দা এবং ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় দিয়ে সবার মন জয় করে চলেছেন।
বড়পর্দায় মনামীর উপস্থিতি একেবারেই আলাদা, ‘বেলাশুরু’, ‘পদাতিক’, কিংবা ‘মৌচাক’— প্রতিটি ছবিতেই তাঁর পরিণত অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই সফলতার পাশাপাশি মনামী নিজের ব্যক্তিত্ব এবং সৌন্দর্যের জন্যও আলাদা করে নজর কাড়েন। নাচ তাঁর নেশা, ফ্যাশনে তাঁর কাছে একটা আলাদাই ভালো লাগার জায়গা, আর সমাজ মাধ্যমে তাঁর সেই নিত্যনতুন উপস্থিতি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। প্রতিটি লুকেই তিনি কিছু নতুনত্ব নিয়ে হাজির হন, যা তাঁকে আলাদা করে তোলে অন্যদের থেকে।

সম্প্রতি আবারও মনামীর এক অভিনব সাজে সামনে এসেছিলেন। তিনি নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘ভিটামিন এম এন্টারটেনমেন্ট’-এর লঞ্চ অনুষ্ঠানে সাদা শাড়ি পরে উপস্থিত হন। যদিও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তাঁর হাতে রাঙানো নীল আলতা। সাধারণত আলতা মানেই লাল রঙ, কিন্তু নীল রঙের আলতায় মনামী যেন নতুন সংজ্ঞা দিলেন আভিজাত্যের। সেই ব্যতিক্রমী স্টাইল মুহূর্তেই আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। সমাজ মাধ্যমে শুরু হয় নানান আলোচনা থেকে সমালোচনা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে পুজোর সময় ‘আইলো উমা বাড়িতে’ গানে নাচের স্টেপ এর জন্য ভাইরাল হয়েছিলেন মনামী। সেই সময় অনুরাগীদের জানিয়েছিলেন, তার মতো করে স্টেপটি করে ভিডিও বানালে তিনি সেটা শেয়ার করবেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। আবার অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, নীল আলতা পড়ে ভিডিও বানাতে। সমাজ মাধ্যমে চোখ রাখলে হয়তো অনেক ভিডিওই চোখে পড়বে ইতিমধ্যেই। এছাড়াও বরাবরই স্পষ্ট কথা স্পষ্টভাবে বলে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘সাত বছর পরেও মেয়ের মুখে বাবা ডাক শুনতে পেলাম না’— একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ‘মাস্টার রিন্টু’ ওরফে সজল দে’র আক্ষেপ! বর্তমানে কোথায় হারিয়ে গেলেন তিনি?
ঐদিন অনুষ্ঠানের পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আধুনিক হওয়া আর বিশ্বাস করার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই! আমি যেমন চূড়ান্ত পর্যায়ে আধুনিক হলেও ঈশ্বর অবিশ্বাস করতে পারবো না। সাজ্জার দিক থেকে দেখতে গেলে আধুনিকতার সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারি, আবার সাবেকী সাজেও অতুলনীয় হয়ে উঠতে পারি! ঈশ্বরের কাছে অত্যাধিক চাওয়াতে আমি বিশ্বাসী নই, বরং সুস্থ রাখার আর্জি জানাই তাঁকে। আমাকে এই কাজটা দাও ওই কাজ দাও, এসবের থেকেও বড় মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা।” আপনারাও কি অভিনেত্রীর সঙ্গে সহমত?